Wipro-তে ফ্রেশার নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে বাজারে বেশ বিতর্ক রয়েছে। গত বছর ভেলোসিটি প্রোগ্রামে ট্রেনিং নিয়েও কম বেতনেই চাকরি শুরুর বিষয়ে অভিযোগ তোলেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। এমন পরিস্থিতিতে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন সংস্থার মুখ্য আর্থিক আধিকারিক(CFO) যতীন দালাল। আরও পড়ুন: ভাল পারফর্ম করলে ১৫% পর্যন্ত হাইক! মুখে হাসি ফুটতে চলেছে TCS কর্মীদের
বিষয়টা কী?
উইপ্রো তাদের 'এলিট' স্তরের ফ্রেশার প্রার্থীদের বার্ষিক ৩.৫ লক্ষ টাকার (LPA) প্যাকেজ দেয়। তবে তাদের আরও একটি অপশন রয়েছে। সেটি হল 'টার্বো'। এই স্তরের ফ্রেশারদের ৬.৫ টাকার স্টার্টিং প্যাকেজ দেওয়া হয়। তবে এমনি-এমনি নয়। এলিট হিসাবে সুযোগ পেয়েছেন, এমন চাকরিপ্রার্থীদের উইপ্রোর 'ভেলোসিটি' প্রোগ্রামে অংশ নিতে হয়। তার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করলে তবেই তাঁদের টার্বো স্তরের অফার দেওয়া হয়। তবে এর জন্য ট্রেনিং শেষে মূল্যায়ন পরীক্ষাতেও পাশ করতে হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে এমনই টার্বো স্তরের অফার পেয়ে গিয়েছিলেন বেশ কিছু ফ্রেশার। গত বছর থেকেই তাঁরা অনবোর্ডিংয়ের অপেক্ষা করছিলেন। কলেজ শেষেই ৬.৫ লক্ষ টাকার বেতন নিয়ে স্বপ্নের জগত সাজিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই সবই ভেস্তে যায় Wipro-র এক ইমেলে। গত সপ্তাহে সংস্থা এক ইমেল-এ জানায়, 'আপনারা চাইলে ৩.৫ লক্ষ টাকার প্যাকেজেই এখনই চাকরিতে জয়েন করতে পারেন। সেটা করলেই মার্চ মাসে অনবোর্ড হয়ে যাবে।'
সেটি না করারও অবশ্য অপশন রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবারও সেই অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকতে হবে। উইপ্রো কবে ৬.৫ লক্ষ টাকার টার্বো প্রোগ্রামে চাকরি দিতে পারবে, তাই নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। বাজারে এখন মন্দা। কোম্পানি কস্ট কাটিং করছে। ফলে বাজার চাঙ্গা হলে তবেই অনবোর্ড করা হবে।
এমতাবস্থায় আর অপেক্ষা না করে সেই ৩.৫ লক্ষ টাকার বেতনের প্যাকেজেই কাজে যোগ দিয়ে দেন বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী। এই বিষয়ে যতীন দালাল জানালেন, আমরা চাকরিপ্রার্থীদের বেশি বেতনে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করার অপশন দিয়েছিলাম। বর্তমানে বেশি বেতনের পদে চাহিদা নেই। সেই কারণেই তাঁদের কম বেতনে কাজ শুরু করে দেওয়ার অপশনও দেওয়া হয়। ৯২% চাকরিপ্রার্থী সেটাই বেছে নেন।'
চাকরিপ্রার্থীরা অবশ্য বলছেন এক-দুই মাস নয়। ২০২২ সালের অগস্ট থেকেই অনবোর্ডিং ঝুলে হয়েছে। এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁরা উইপ্রোর কাছ থেকে একটি ইমেল পান বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে তাঁদের কম বেতনের পদে যোগ দেওয়ার অফার করা হয়। শুধু তাই নয়, এর জন্য মাত্র ৪ দিন সময় দেয় সংস্থা। আর এতে একবার যোগ দিলেই আগের ৬.৫ লক্ষ টাকার অফার বাতিল হয়ে যাবে।
জানানো হয়েছে অভিযোগও
গত ফেব্রুয়ারি মাসে 'ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সেনেট'(NITES)। তথ্যপ্রযুক্তি(IT) কর্মীদের সংগঠন এই মর্মে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে চিঠি দিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা। আরও পড়ুন: চাহিদার তুলনায় ফ্রেশার বেশি, এখন বেতন বাড়ানো হবে না, জানালেন Wipro-র প্রধান HR