বল হাতে উইকেট নিয়েছেন, এবার ব্যাট হাতেও দলকে ভরসা দিলেন দীপ্তি শর্মা। শুধু দীপ্তি একা নন, এদিন ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করেন অভিষেক হওয়া বাংলার রিচা ঘোষও। বাংলার এই দুই ক্রিকেটারই অর্ধশতরান করলেন। সেই সঙ্গে দিনের শেষে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিলেন। বলা ভালো অজি বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন তারা।
এদিনের শুরুটা স্মৃতি মন্ধনা এবং স্নেহ রানা করেন। যদিও রানা এদিন একেবারেই বড় রান করতে পারেননি। মাত্র ৯ রান করে ফিরে যান। তবে রিচা ভরসা দেন দলকে। স্মৃতি-রিচার ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে ভারতীয় মহিলা দল। ক্রমেই চাপ বাড়তে থাকে অজিদেক উপর। যদিও কিছুটা হলেও এদিন গার্ডনার বেশ চাপে রাখে ভারতীয়দের। কারণ ভারতের গড়া মঞ্চে চার উইকেট তুলে নেন তিনি। অজিদের ভরসা দিলেও তা ধোপে টেকেনি। কারণ ঘরের মাঠে দাপট দেখান ভারতীয় মেয়েরা।
যদিও স্মৃতি এদিন শতরানের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সামান্য ভুলে তা হাতছাড়া হয়। ৭৪ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। একই অবস্থা জেমিমা রড্রিগেজেরও। তিনিও শতরানের দিকেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু কিম গ্রায়ের বলে ফিরে যান ফিরে যান রড্রিগেজ। এই ভারতীয় ব্যাটার ১২১ বলে ৭৩ রান করেন। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৯টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। রিচাও অর্ধশরান করেন। কিন্তু শতরানের দিকে এগোতে পারেননি। ১০৪ বলে ৫২ রান করেন। এই বঙ্গ সন্তানের ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৭টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। একটা সময় পরপর উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় ভারত। কিন্তু দলকে সেই পরিস্থিতি থেকে তুলে ধরেন দীপ্তি। লড়াকু অর্ধশতরানে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে টিম ইন্ডিয়া। কোনও ভাবে রুখতে পারেননি অজি মেয়েরা। বলা ভালো ঘরের মাঠে দাপুটে ব্যাটিং ভারতীয় মেয়দের।
দ্বিতীয় দিনের শেষে বেশ ভালো জায়গায় রয়েছে ভারত। এই মুহূর্তে ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন দীপ্তি শর্মা এবং পূজা বস্ত্রাকার। দীপ্তি ১৪৭ বলে ৭০ রানে ব্যাট করছেন। এই তারকা ক্রিকেটারের সংগ্রহে ৯টি বাউন্ডারি রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৭৬। ১৫৭ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারতী মেয়েরা। যদিও ভারতের এই দাপুটে ইনিংসের মধ্যেও বল হাতে নজর কেড়েছেন গার্ডনার। ৪১ ওভার বল করে ১০০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কিম গ্রা এবং জোনাসেন। তৃতীয় দিনে ভারতীয়রা আশা করছে যাতে দীপ্তির ব্যাট থেকে শতরানটি আসুক।