'ও আইপিএলে খেলতে পারুক কি না পারুক, রান করুক কি না করুক তবুও আমি ওকে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ দলে রাখা হোক।' ঋষভ পান্থকে নিয়ে সম্প্রতি এমনই বড় মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ব্যাটার সুনীল গাভাসকর। এবার এমনই একটি বিশেষ মন্তব্য তিনি করে বসলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন যে আসন্ন আইপিএল নিলামে সব ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজর কাড়বেন প্যাট। পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করলেন যে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান করার সঙ্গে কামিন্সের অধিনায়কত্বের রেকর্ডও দুর্দান্ত এবং এটি ওর সবথেকে বড় গুণ।
আর কয়েকমাস পর শুরু হবে আইপিএলের নতুন মরশুম। তার আগে ১৯ ডিসেম্বরের হয়ে যাবে নিলাম পর্ব। ইতিমধ্যেই, এবারের নিলামকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা রয়েছে তুঙ্গে। কোন ক্রিকেটার কোন দলে যাবে, সেই নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা। তবে এরই মাঝে টিম ইন্ডিয়া তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পন্তকে নিয়ে বড় মন্তব্য করে বসেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার গাভাসকর। তিনি সরাসরি দাবি করেন যে পন্ত এই টুর্নামেন্টে কিছু করতে পারুক কি না পারুক, কিন্তু তিনি নির্বাচক হলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখতে হবে। এবার তিনি বড় মন্তব্য করে বসলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়বেন তিনি।
সানির বক্তব্য, দেখুন আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন আমার মতে এই নিলামে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়বে কে? তাহলে আমার উত্তর হবে প্যাট কামিন্স। এটা কিন্তু ভুললে চলবে না যে যখন প্যাট কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছে। ওর ব্যাট থেকে কিন্তু একটি অর্ধশতরান আসে। পাশাপাশি, যদি ওর অধিনায়কত্বের রেকর্ড দেখা যায়, তাহলে আমি বলব অধিনায়ক হিসেবেও ওর পারফরম্যান্স দারুণ। সুতরাং ব্যাটিং, বোলিং ও নেতৃত্ব, তিনটেই পাওয়া যাবে ওর থেকে এবং এটাই আকর্ষিত করবে সকল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। এই কারণেই ওকে অনেকেই দলে নিতে চাইবে।'
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর 'আইপিএলের 'মেগা নিলাম' অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। এই প্রথম আইপিএলের কোনও মরশুমের নিলাম অনুষ্ঠান হতে চলেছে বিদেশের মাটিতে। গোটা নিলাম পর্ব শেষ হবে একদিনেই। ইতিমধ্যেই, ২৬ নভেম্বর সব ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি জমা দিয়ে দিয়েছে ক্রিকেটারদের 'রিটেনশন ও রিলিজ' তালিকা। রিটেনশন তালিকায় রয়েছেন ১৭৪জন ক্রিকেটার এবং রিলিজ তালিকায় নাম রয়েছে ৯১জনের। ট্রেডেড ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছে ৭ জন। তবে টুর্নামেন্ট কবে শুরু হবে এখনও তা সরকারি ভাবে জানায়নি বিসিসিআই। কারণ সামনের বছর লোকসভা ভোট রয়েছে। ফলে কবে টুর্নামেন্ট শুরু নিয়ে একটা জটিলতা দেখা দিতেই পারে।