হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রবিবার হারের সঙ্গে নিজেদের অভিযান শুরু করেছে। আইপিএল ২০২৪-এর পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটান্স। রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে মুম্বইকে ৬ রানে হারিয়েছে শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্স। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাট প্রথমে ব্যাট করে ১৬৮/৬ স্কোর করে। জবাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান করতে সক্ষম হয়।
MI-এর অধিনায়কত্বের যাত্রা যখন পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল তখন হার্দিকের হৃদয় অবশ্যই ভেঙে গিয়েছে। এদিনের হারের পরে হার্দিক বলেন, দলের এখনও অনেক ম্যাচ বাকি আছে, সেখানেই তারা নিজেদের শক্তি দেখাবে। আমরা আপনাকে বলি যে ১৭তম মরশুমের আগে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স হার্দিককে রোহিত শর্মার জায়গায় অধিনায়ক হিসাবে নিয়োগ করেছিল। হার্দিক দুই সিজনে গুজরাটের নেতৃত্ব দেওয়ার পর MI-এ ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: ৪৫৪ দিন পরে মাঠে ফিরেই পুরনো ছন্দে ঋষভ! জিতেশকে আউট করে সকলকে অবাক করলেন পন্ত
GT-এর কাছে হারার পরে, হার্দিক বলেছিলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরা শেষ পাঁচ ওভারে ৪২ রান করতে সক্ষম হব। কিন্তু এমন একএকটা দিন যায় যখন আপনি নিজের রানের গতি হারান। আজ আমাদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। আমার মনে হয় আমরা সেখানে কিছুটা গতি হারিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমদাবাদ স্টেডিয়ামে ফিরে এসে ভালো লাগছে। এটা এমন একটি স্টেডিয়াম যেখানে আপনি দুর্দান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে এবং অনুভব করতে পারেন। দর্শকরা ভালো সংখ্যায় ছিল এবং তারা একটি ভালো খেলা দেখতে পেয়েছে।’
একই সময়ে, রশিদ খানের বিরুদ্ধে তিলক বর্মার একটিও সিঙ্গল রান না নেওয়ার বিষয়ে হার্দিক বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই সময় তিলক যেটা ভেবেছিল সে সেটাই করেছিল। হয়তো তখন সেটাই ঠিক ছিল। আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন করি। এটি কোনও সমস্যা নয়। আমাদের এখনও ১৩টি ম্যাচ বাকি আছে।’
শেষ ওভারে জয়ের জন্য মুম্বইয়ের দরকার ছিল ১৯ রান কিন্তু উমেশ যাদব মাত্র ১২ রান খরচ করেন। হার্দিক ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে পরের বলে চার মারেন। মনে হচ্ছিল মুম্বইকে জয়ী করে এখান থেকে ফিরবেন হার্দিক। তবে তৃতীয় বলে হার্দিককে আউট করে ছক ঘুরিয়ে দেন উমেশ। চার বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
চতুর্থ বলে পীযূষ চাওলাকে (০) আউট করেন উমেশ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ৩৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। রোহিত শর্মা ২৯ বলে ৪৩ রান যোগ করেন। মারেন একটি চার ও একটি ছক্কা। ওপেনার ইশান কিষান খাতা খুলতে পারেননি।