PAK vs AFG: ক্যাচ ধরতে না পারায় সতীর্থকেই বল ছুঁড়ে ‘মারতে' গেলেন মহম্মদ নবি- ভিডিয়ো

Pakistan vs Afghanistan 1st ODI: ফখরকে ফেরাতে স্লিপে দুই আফগান তারকার অনবদ্য রিলে ক্যাচের ভিডিয়ো দেখুন। দেখে নিন কীভাবে শূন্য রানে বাবর আজমকে ফাঁদে ফেললেন মুজিব উর রহমান।

সতীর্থকে বল ছুঁড়ে মারতে উদ্যত নবি। ছবি- ফ্যানকোড টুইটার।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচের প্রথম ওভারেই বড়সড় সাফল্য পায় আফগানিস্তান। হাম্বান্তোতায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ম্যাচের প্রথম ওভারেই পাক ওপেনার ফখর জামানকে সাজঘরে ফেরান আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে মহম্মদ নবির হাতে ধরে পড়েন ফখর।

উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, ফখরের ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে নবি আসলে রহমত শাহর ভুল শুধরে দেন। ফারুকির অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে ক্রিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে দেন ফখর। পায়ের নড়াচড়া চোখে পড়েনি মোটেও। ফলে ব্যাটের কানা নিয়ে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে রহমতের কাছে। তবে বল তালুবন্দ করতে পারেননি রহমত। তাঁর হাত থেকে ছিটকে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে ফিল্ডিং করা মহম্মদ নবির কাছে। অভিজ্ঞ নবি ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি।

আধুনিক ক্রিকেটে বাউন্ডারি লাইনে রিলে ক্যাচ ধরতে দেখা যায় হামেশাই। একজন ফিল্ডার বল ধরা মাত্রই অন্য ফিল্ডারের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে নিজে বাউন্ডারির বাইরে বেরিয়ে যান অনেক সময়। তবে স্লিপে এমন রিলে ক্যাচ কদাচিৎই দেখতে পাওয়া যায়। যদিও অতীতে কিপারের হাত থেকে ছিটকে যাওয়া ক্যাচ ধরতে দেখা দিয়েছে স্লিপ ফিল্ডারকে। স্লিপ ফিল্ডারের হাত থেকে ছিটকে যাওয়া ক্যাচ ধরার নজির রয়েছে কিপারেরও।

এমন ভুল করার পরেই রহমতকে অনুতপ্ত দেখায়। তিনি নবির কাছে যেতেই নবি তাঁকে বল ছুঁড়ে মারতে উদ্যত হন। বিষয়টা যে, নিছক মজা করে, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফখর জামান ৪ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

দ্বিতীয় ওভারেই পাক শিবিরে আরও বড়সড় ধাক্কা দেয় আফগানিস্তান। এবার ক্যাপ্টেন বাবর আজমকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান মুজিব উর রহমান। দ্বিতীয় ওভারের একেবারে শেষে মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন বাবর। পাকিস্তান দলগত মাত্র ৭ রানে টপ অর্ডারের ২ জন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে।

ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি মহম্মদ রিজওয়ানও। ইনিংসের অষ্টম ওভারে মুজিব উর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ বলে ২১ রান করে মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ক্রিজ ছাড়েন পাক উইকেটকিপার। পাকিস্তান দলগত ৪০ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বসে।