পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ফেললেন কুইন্টন ডি'কক। ওডিআই ক্যারিয়ারে এই নিয়ে তৃতীয় বার পরপর দু'টি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপের আগে ২টি বিশ্বকাপ ডি'কক খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে। ১৭টি ইনিংসের পর তাঁর নামের পাশে এবার জোড়া শতরান।
দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে ৮৪ বলে ১০০ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। আর বৃহস্পতিবার অজিদের বিরুদ্ধে আবার ১০৬ বলে করেন ১০৯ রান। তাঁর দায়িত্বশীল ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার এবং পাঁচটি ছক্কায়। ২০২২ সালের জানুয়ারির পর, ২০ মাস বাদে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শতরানের খরা কাটে ডি'ককের। ২০১৩ সালে জোহানেসবার্গ, ডারবান এবং সেঞ্চুরিয়নে ভারতের বিরুদ্ধে ডি'কক ওডিআই শতরানের হ্যাটট্রিক করেছিলেন। রান করেছিলেন যথাক্রমে ১৩৫, ১০৬ এবং ১০১। এরপর ২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে ১০৯ করার পর তিনি পরবর্তী ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৩৮ রান করেন। আরও একবার ওডিআই ক্রিকেটে পরপর দু'টি সেঞ্চুরি হাঁকালেন কুইন্টন ডি'কক।
আরও পড়ুন: পাক ম্যাচে শুভমন খেলবেই- বড় দাবি প্রাক্তন নির্বাচক প্রধানের
কুইন্টনের সেঞ্চুরির হাত ধরে অজিদের বিরুদ্ধে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে মাত্র ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩৪ রানে বাজে ভাবে হারে তারা।
ম্যাচের পর কুইন্টন ডি'কক বলেন, ‘এটা ছিল ছেলেদের জন্য একটা দারুণ জয়। সত্যি কথা বলতে, আমরা জানতাম না পিচ কেমন হবে, আমরা কন্ডিশনকে সুন্দর ভাবে মূল্যায়ন করেছি এবং তার পর ব্যাট হাতে নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। যে ছেলেরা উইকেটে সময় কাটিয়েছে, তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে তার পর স্কোর করার বিকল্প ব্যবহার করেছে।’
আরও পড়ুন: বাবরদের বিরুদ্ধে ভারতকেই ফেভারিট বলা হচ্ছে, এর পিছনের কারণগুলি জানেন কি?
লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংয়ে ব্যাট করা যে কঠিন হয়, সেটা মেনে নিয়েছেন ডি'কক। তিনি বলেছেন, ‘৩১১-এর ঠিকঠাক স্কোর ছিল। আমি এখানে লখনউ দলের হয়ে খেলেছি (আইপিএলে), দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন হয়ে পড়ে। উইকেটের কিছুটা পরিবর্তন হয়।’ কুইন্টন ডি'ককের এই দাবি অজিদের দুরাবস্থায় কিছুটা হলেও সান্ত্বনার কাজ করতে পারে।
সঙ্গে বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটার দাবি করেছেন, ‘আবহাওয়া ছিল ঘর্মাক্ত এবং আর্দ্র। তাও বোলাররা তাদের সেরা ছন্দে ছিল। তারা আলগা বল দেয়নি। এবং তারা প্রথম দিকে উইকেট তুলে নিয়েছিল।’ তবে পরপর দুই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জেতায় আত্মতুষ্টি যাতে না আসে, সেই বিষয়ে সচেতন প্রোটিয়ারা। ডি'ককের দাবি, ‘আমরা ভালো খেলেছি। তবে এটা সবে দুই নম্বর ম্যাচ। বিশ্বকাপ একটি দীর্ঘ টুর্নামেন্ট। তাই আমরা ম্যাচ-বাই-ম্যাচ এগোতে চাই।’