পুরভোটের টিকিট না মেলায় রাতারাতি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। পুরভোটের আগে ভাঙন দেখা গেল সিপিএমে। দল থেকে টিকিট না মেলায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীর সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হওয়ার জন্যই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে সিটু নেতা রবিন রাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তারপর পুরভোটের আগে কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিজ্ঞ নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে সিপিএম কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এই বিষয়টিতে বিশেষ আমল দিতে রাজি নন সিপিএম নেতারা। তাদের মতে, দলে এই ধরনের নেতা থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলার সম্পাদক অজিত পতি বলেন, 'এই ধরনের নেতা দল ছেড়েছে ভালোই হয়েছে। এরকম নেতা দলে থাকার থেকে না থাকাই ভালো। আসলে উনি প্রকৃত কমিউনিস্ট নন। সিপিএম পার্টি তো একটা নীতি নিয়ে চলে। এই ধরনের নেতা দলে থাকলে তাতে সিপিএমেরই ক্ষতি হত।' অন্যদিকে, কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'সিপিএমের প্রতি আমার কোনও টান নেই। দেশকে বিজেপি মুক্ত করতে গেলে তৃণমূলেরই হাত শক্ত করতে হবে। তাই আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।'
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যে আরও উন্নয়ন হবে। আগামী দিনে তিনি সর্বভারতীয় নেত্রী হবেন।'
উল্লেখ্য, ১৯ বছর ধরে সোনামুখী পৌরসভার পৌর প্রধান ছিলেন কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলার ৩ পৌরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সিপিএম। প্রত্যাশামতো তাতে অনেক প্রার্থীর নাম তালিকায় দেখা যায়নি। কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রত্যাশামতো প্রার্থী না করায় তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই তৃণমূলে যোগদান করেন।