তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসাররা। টানা ১১ ঘণ্টা চলে প্রশ্নোত্তর–পর্ব। তারপর রাতে সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাঁকে। এটা ছিল শুক্রবারের ঘটনা। আর আজ, শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করবেন যাঁরা তাঁদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ নাম নেই দলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। আজ জুলাই মাসের পয়লা তারিখে তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রথমসারির নেতা–নেত্রীদের নাম থাকলেও নাম নেই সায়নী ঘোষের বলেই খবর।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? ইডির তলবের জেরেই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন যুবনেত্রী বলে জানা গিয়েছে। তাই সায়নী ঘোষকে প্রচার তালিকায় রাখা হয়নি। তবে গত বুধবার তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায়নি। বরং তিনি অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। অনেকেই তাঁকে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাননি। দলের অনেকের অভিজ্ঞতাও তেমনই। এতে মানুষের মনে একটা অন্য প্রশ্নের জন্ম নেয়। তাহলে কি সায়নীও নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত? তবে নির্দিষ্ট সময়েই ইডির দফতরে পৌঁছেছিলেন তিনি। ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করার কথা বলেছেন তিনি। আবার ডাকলে আসবেনও বলেছেন।
ইতিমধ্যেই ৫ জুলাই তাঁকে আবার ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে গতকাল রাতে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমে সায়নী বলেছেন, ‘তদন্তের কাজে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব। যতবার ডাকা হবে, তত বারই আসব। দরকারে সিজিও কমপ্লেক্সে ২৪ ঘণ্টা থাকব।’ এদিকে এখন বারবার তাঁকে ডাকা হতে পারে। এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। তাই তাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে রাখলে গ্রামবাংলার মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তাই এবার প্রচার তালিকা থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হল। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গ্রামের মানুষ সায়নী ঘোষকে দেখতে পাবেন না।
আরও পড়ুন: বাতিল হয়ে গেল অভিষেকের জনসভা, উত্তরবঙ্গের জেলায় কেন এমন ঘটনা ঘটল?
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে আগামী ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে শুরু হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের প্রচার শেষ আগামী বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ সায়নী ঘোষকে দ্বিতীয়বার ডাকার পরেরদিন প্রচার শেষ। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ হওয়াই নিয়ম। আর ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা আগে সায়নী ঘোষ যাবেন ইডি দফতরে। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রচার তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেছেন শীর্ষ নেতারা। তবে এখন দেখার প্রচার তালিকায় নাম না থাকলেও হাতে যা সময় আছে তাতে সায়নী ঘোষকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে নামায় কিনা।