মঙ্গলবার ফের তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রাচরে সায়নী ঘোষ। ইডি ডাকার আগে যেখানে তিনি শেষ প্রচার করেছিলেন সেই পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই প্রচার করবেন। মঙ্গলবার দলের যে প্রচার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের করাজগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত ও সিংহী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এদিন প্রচার চালাবেন তিনি।
(পড়তে পারেন। আর ৩০ সেকেন্ড দেরি হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ করে যেত’, ভয়ংকর ঘটনা জানালেন মমতা)
বুধবারই ফের তাঁকে তলব করেছে ইডি। তার আগে যুব নেত্রীকে প্রচার তালিকায় রেখে তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, দল তার সঙ্গে রয়েছে। সায়নী নিজেও দলকে জানিয়েছেন, দুর্নীতিতে তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। তাই তিনি প্রচারে যেতেই পারেন। দলের একাংশ মনে করছেন, জিজ্ঞাসাবাদের ঠিক আগের দিন সায়নীকে প্রচারে পাঠিয়ে 'এক ঢিলে দুই পাখী মারা' হবে। একদিকে বিজেপিকে বার্তা দেওয়া যাবে, ইডি-সিবিআই ডাকলেও দল মোটেই এ সব গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে না। অন্য দিকে জনতাকে জানানো যাবে গেরুয়া শিবির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করছে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন প্রচারে ছিলেন না সায়নী? তার কারণ তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা জানাচ্ছেন, ইডি ডাকে হাজিরা দেওয়ার আগে কাগজপত্র জোগাড় করে ব্যস্ত ছিলেন । তাই প্রচারে থাকতে পারেননি তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামে প্রচারে কাজে ব্যস্ত থাকালীনই তাকে তলব করে ইডি। প্রচার চলাকালীনই তিনি জানতে পারেন। পরের দিন তাঁর প্রচার করার কথা ছিল পূর্ব বর্ধমানে জামালপুর বিধানসভা এলাকায়। কিন্তু ইডি-র নোটিশের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তিনি বেপাত্তা হয়ে যান। দলের তরফেও তাঁর কোনোও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, উল্টো রথের উপোস করে সায়নী দূর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তার পর তাঁকে দেখা যায় সিজিও কমপ্লক্সে ইডি অফিসে।
প্রায় সাড়ে এগারো ঘণ্টার জেরার পর বেরিয়ে এসে তৃণমূল যুবনেত্রী বলেন, তদন্ত তিনি সব রকম সহযোগিতা করবেন। যতবার ডাকা হবে তত বার তিনি আসবেন। তার পর শনি, রবি, সোম প্রচার তালিকা প্রস্তুত হলেও সায়নীয় নাম দেখা যায়নি তাতে। এবার জিজ্ঞাসাবাদের ঠিক আগের দিন তিনি ফের প্রচার করবেন দলের হয়ে।
বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় শেষ হবে পঞ্চায়েতের প্রচার। তার আগের দিন বুধবার তিনি ইডি অফিসে যাবেন। তাই তাঁকে মঙ্গলবারই প্রচারে পাঠাল দল। এই পঞ্চায়েত ভোটে এটাই সম্ভবত তাঁর শেষ প্রচার।