জাতীয় দল হিসেবে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে গোয়ায় ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তিন মাসের প্রচেষ্টায় কোনও আসনে জিততে পারেনি ঘাসফুল শিবির। ‘অভিষেকে’ এই পরিণতি নিয়ে অবশ্য সাফাই গাইলেন দলের সর্বভারীতয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘৩ মাস অত্যন্ত কম সময়, তাতেই ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছি।’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ‘আগামী ৫ বছর মাটি আঁকড়ে গোয়ায় পড়ে থাকব।’ উল্লেখ্য, এর আগে ২০১২ সালে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করলেও সেই নির্বাচনকে তারা নিজেরাই ধর্তব্যে আনতে চান না। ঘাসফুল শিবিরের মতে এবারই সঠিকভাবে গোয়ায় পা রাখার জন্য এগিয়েছে তৃণমূল। তাই সেই অর্থে এটাই গোয়ায় তাদের অভিষেক।
গতরাতে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। তিন মাস অত্যন্ত কম সময়। তাও তৃণমূল কংগ্রেসকে যে ভালোবাসা মানুষ দিয়েছেন... ওখানে চারটে আসনে অত্যন্ত কম ব্যবধানে হেরেছি। কোনও আসনে ১০০০, ১২০০, কোনও আসনে মাত্র ২৫০ ভোটে হারতে হয়েছে আমাদের। এমন অনেকগুলি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস তিনমাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।’
এরপর অভিষেক আরও বলেন, ‘আমরা গোয়ার মানুষের কাছে বদ্ধপরিকর। যে প্রতিশ্রুতি আণরা দিয়েছেলাম, যে আমরা গোয়ায় থাকব এবং ময়দানে লড়াই করব... আমরা আমাদের কথায় এখনও অনড় রয়েছি। আমরা আগামী পাঁচবছর মাটি কামড়ে গোয়ায় পড়ে থাকব। তৃণমূল কংগ্রেস যখন একবার সেই রাজ্যে ঢুকেছে... তিন মাস অত্যন্ত কম সময়। এই সময়ে হয়ত আমরা সবার কাছে সেভাবে পৌঁছতে পারিনি। কিন্তু ৬ শতাংশ ভোট সার্বিক ভাবে একটি রাজ্যের নির্বাচনের নিরিখে, এটা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করে দেখাতে পারেনি। তিন মাসের মধ্যে বিজেপি কোথাও গিয়ে কোনও রাজ্যে ৬ শতংশ বা কোনও বিধানসভায় ৩০ শতাংশ ভোট পাবে না। এটা আমাদের কাছে বড় সাফল্য। এখন আরও আলোচনা হবে। আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিছু। তবে গোয়ার মাটিতে আমরা পড়ে থাকব এবং আগামী পাঁচ বছরে সেরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করে সেখানে জোড়াফুল ফোটাব।’