ভোটের আগে জোট গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে ভোটের ফলপ্রকাশের পর প্রয়োজনে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) সমর্থন চাওয়া হতে পারে। এমনটাই জানালেন গোয়ার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রমোদ সাওয়ান্ত।
তিনি বলেন, ‘গোয়ায় বিজেপি ২০ থেকে ৪০ টি আসনে জিতবে। অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষায় দেখাচ্ছে যে বিজেপি জিতছে। নির্দলদের এবং আঞ্চলিক দলের সমর্থন নিয়ে আমরা সরকার গঠন করব। দাবিদাওয়া নিয়ে ওদের (নির্দল এবং আঞ্চলিক দলগুলির) সঙ্গে আলোচনা করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সমর্থন চাওয়া হবে।’
সোমবার গোয়ার বুথফেরত সমীক্ষায় আভাস মিলেছে যে এককভাবে কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। অর্থাৎ ত্রিশঙ্কু হতে পারে গোয়া। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কংগ্রেস এবং বিজেপির। সেক্ষেত্রে ‘কিং মেকার’ হয়ে উঠতে পারে এমজিপি এবং নির্দল প্রার্থীরা। এমনিতে ভোটের আগেই এমজিপির সঙ্গে জোট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সেই জোটের হাতে চারটি থেকে পাঁচটি আসন যেতে পারে। যা ভোটের পর এমজিপির ‘দর’ বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিজেপি এবং কংগ্রেস - উভয়পক্ষই এমজিপিকে হাতে রাখার চেষ্টা করছে। যে দলের সমর্থনে ২০১৭ সালে সরকার গড়েছিল বিজেপি। তবে পরে এমজিপির তিন বিধায়কের মধ্যে দু'জনকে গেরুয়া শিবিরে সামিল করে আঞ্চলিক দলকে মন্ত্রিসভা থেকে ‘তাড়িয়ে দিয়েছিল’।
তারইমধ্যে এমজিপি জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর কোন দলকে সমর্থন করা হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করা হবে। তারপরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রামকৃষ্ণ 'সুদিন' ধবলিকর বলেন, 'ভবিষ্যতে কোন পথে এগিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং এমজিপি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা গোয়ার মানুষ এবং এমজিপির দিকে তাকিয়ে নেওয়া হবে।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি (কংগ্রেসের) পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেছি। (কংগ্রেসের) দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। সকলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আমরা তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনায় বসব। তারপর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই হবে চূড়ান্ত।'