প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তামিলনাড়ুর এমকে স্টালিন সরকারের মৎস্যমন্ত্রী অনিতা আর রাধাকৃষ্ণন। এ নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। এর প্রতিবাদে পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবে তামিলনাড়ুর বিজেপি ইউনিট। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর এর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে এই ধরনের ভাষার কোনও স্থান নেই।’
আরও পড়ুনঃ 'দোষীকে না ধরে…', সন্দেশখালিতে সাংবাদিক গ্রেফতারিতে সরব অনুরাগ ঠাকুর
রবিবার দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে রাধাকৃষ্ণনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। বলেছিলেন যে গণতন্ত্রে এই জাতীয় ভাষার কোনও স্থান নেই। তিনি বলেন, ‘যখন ধ্বংস কাছাকাছি চলে আসে তখন মানুষের বিবেক থাকে না। ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের বিবেক শেষ হয়ে গিয়েছে। মোদীজির প্রতি ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের চিন্তাভাবনা এবং বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এই জোটের নেতাদের চিন্তাশক্তি শেষ হয়ে গেছে, তাদের বিবেক মারা গিয়েছে।’
অনুরাগ ঠাকুর আরও বলেন, সনাতনকে ধ্বংস করার অসংখ্য প্রচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু, সনাতন চিরন্তন । একইভাবে, প্রধানমন্ত্রীর উপর ইন্ডিয়া জোট যত বেশি আক্রমণ করেছে, ততই তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, একজন মহিলা সাংসদের সামনে ডিএমকের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করলেন অথচ তিনি কোনও প্রতিবাদ করলেন না।
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য ইউনিটের সভাপতি কে আন্নামালাই এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে লিখেছেন, ডিএমকে নেতা রাধাকৃষ্ণন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে নিম্ন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জানান, এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি অভিযোগ জানাবে। এর পাশাপাশি পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হবে। সেক্ষেত্রে ডিএমকের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার আবেদন জানাবে বিজেপি।
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণন তিরুপতি রাধাকৃষ্ণনের এমন মন্তব্যের জন্য অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সাংসদ কানিমোঝিও উপস্থিত ছিলেন, তাই নির্বাচন কমিশনকে তাঁর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে তিনি দাবি জানিয়েছেন।