লোকসভা ভোট ঘিরে সব দলই যখন ভোট যুদ্ধের দিকে তাকিয়ে নিজের মতো করে কর্মব্যস্ত, তখনই ভারতীয় রাজনৈতিক আঙিনায় এল এক উদ্বেগের বার্তা। বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী জানিয়েছেন, তিনি গত ৬ মাস ধরে লড়াই করছেন ক্যানসারের সঙ্গে। ফলত, এই শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের লোকসভা ভোটে তিনি কোনও কাজেই থাকতে পারবেন না। একই সঙ্গে সুশীল মোদী জানান, তিনি অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন।
বিজেপির হেভিওয়েট তথা সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অন্যতম সুশীল মোদী। বিহারের রাজনীতিতে তাঁর দাপটও কম নয়। তিনি জানিয়েছেন, গত ৬ মাস ধরে তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। বুধবার এই উদ্বেগের বার্তা আসে লোকসভা ভোট ঘিরে রাজনৈতিক ব্যস্ততার মাঝেই। প্রসঙ্গত, এক সোশ্যাল মিডিয়া টুইটে সুশীল মোদী জানান, ‘গত ৬ মাস ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছি। আমার মনে হল, এটা মানুষকে জানানো দরকার। আমি লোকসভা ভোটে কিছুই করতে পারব না। আমি সবটা জানিয়েছি প্রধানমন্ত্রীকে।’
(Vijender Singh joins BJP: রাহুলের মনোনয়ন জমার দিনে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে প্রবল মোদী বিরোধী বক্সার বিজেন্দ্র সিং )
(Lok sabha vote Wayanad: আমেঠির সাসপেন্স এখনও জারি! তাক লাগানো রোড শো নিয়ে ওয়েনাদে মনোনয়ন জমা রাহুলের, সঙ্গী প্রিয়াঙ্কা )
বিহারের রাজনীতিতে সুশীল মোদী এক তাবড় নাম। আর তাঁর এই শারীরিক অসুস্থতার খবর ঘিরে স্বভাবতই বিজেপির শিবিরে বেশ কিছুটা উদ্বেগের কালো মেঘ। এর আগে, বিহারে নীতীশ সরকারে তিনি উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বিহারের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বও ছিল তাঁর কাঁধে। বিহারের রাজনীতিতে তাঁর সঙ্গে নীতীশ কুমারের সখ্যতার কথাও সর্বজন বিদিত। গত ৩ দশক ধরে বিহারের রাজনৈতিক ক্যানভাসে সুশীল মোদী তাবড় নাম। আর ২০২৪ লোকসভা ভোটে তাঁর ভোট সংক্রান্ত কাজকর্মের মধ্যে না থাকতে পারা ও এই শারীরিক অসুস্থতা বেশ খানিকটা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরে। সুশীল মোদির রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বের দক্ষতা তাকে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পদে আসীন করে। তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে বিহারের রাজনীতিতে তিনি যেমন মন্ত্রিত্ব সামলেছেন, তেমনই দিল্লির রাজনীতিতে তিনি সামলেছেন সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব। এরই মাঝে এল এই উদ্বেগের খবর।