যাবতীয় বিরোধ অতীত। প্রধানমন্ত্রীর এক ফোনে ফের একজোট সন্দেশখালির মহিলারা। আর প্রার্থী হওয়ার পর বুধবার প্রথম সন্দেশখালিতে পৌঁছেই সেই আবেগ টের পেলেন রেখা পাত্র। এদিন স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন তিনি। রেখা পাত্র পৌঁছতেই ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় স্থানীয় মহিলাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: পার্থ–জ্যোতিপ্রিয়কে আবির মাখাতে গেলেন বন্দিরা, খেপে ফায়ার প্রাক্তন দুই মন্ত্রী
এদিন সন্দেশখালিতে রেখা দেবী পৌঁছতেই চারি দিক থেকে তাঁকে ঘিরে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন স্থানীয় মহিলারা। রেখাদেবী বলেন, ‘আমরা সবাই প্রার্থী। মোদীজি আমাদের ভোটদানের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমাকে কারও কাছে ভোট চাইতে হবে না। মানুষ আমাকে ভোট দিতে তৈরি। শুধু তাঁদের প্রার্থীর নাম আর প্রতীক জানিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যাবে।’
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘ রেখাকে প্রার্থী করে সন্দেশখালির মহিলাদের প্রতিরোধকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিজেপি। আমরা ২০১১ সাল থেকে ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা ভোট দেব। আমরা মোদীজিকে ভোট দেব।’
আরও পড়ুন: CM-র উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ছক, গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের ছেলে
বলে রাখি, সোমবার রেখা পাত্রের প্রার্থীপদ নিয়ে সন্দেশখালির মহিলাদের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা দেয়। স্থানীয় কয়েকজন মহিলা প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পর মঙ্গলবার সবাইকে চমকে দিয়ে রেখা পাত্রকে ফোন করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেখাদেবীকে ‘শক্তি স্বরূপা’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনার পাশে প্রতিটি বিজেপি কর্মী রয়েছেন। আপনি এগিয়ে যান। আপনি দিল্লি আসছেনই। এতে কোনও সংশয় নেই।’ এর পরই অবস্থান বদল করেন রেখার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা। এক ভিডিয়ো বার্তায় রেখার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় রেখা পাত্রের প্রার্থীপদের বিরোধিতা করেছিল তাঁরা। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা রেখার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁরা সবাই রেখা পাত্রের পাশে রয়েছেন।