দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বাবা তুলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাঁথির প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, যা করার করে নিন।
আরও পড়ুন: CM-র উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ছক, গ্রেফতার প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকের ছেলে
এদিন সাংবাদিকরা কুণালকে প্রশ্ন করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো শুভেন্দু অধিকারীকে বাবা তুলে আক্রমণ করেছিলেন। তখন আপনারা প্রতিবাদ করেননি কেন?
প্রশ্ন শুনেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন কুণাল। বলেন, ‘আপনি কি শুভেন্দুর বাবার কথা বলছেন। আমি আবার শুভেন্দুর বাবা তুলছি। যা করার করে নিন, যান! কারণ শুভেন্দুর বাবা শুধু শুভেন্দুর বাবা নন। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা। এমন নেতা, যিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দলের সঙ্গে। শিশির অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। জীবনে একবার মাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় ২০০৯ সালে। শিশির অধিকারী ও তাঁর ছেলেরা যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায়, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের আবেগে, দলের শহিদদের রক্তের বিনিময়ে’।
আরও পড়ুন: পার্থ–জ্যোতিপ্রিয়কে আবির মাখাতে গেলেন বন্দিরা, খেপে ফায়ার প্রাক্তন দুই মন্ত্রী
এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ জানায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। দলে কুণাল ছাড়াও ছিলেন, মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু ও মালা রায়। দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বারবার এই ধরণের মন্তব্য করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এই বক্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষকে বিজেপি যে শো কজ করেছে তাকে অবশ্য বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি বিজেপি নেতারা।