মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে বিজেপি

এই নোটবুক বা খাতা আজ নতুন বিলি হচ্ছে না। এটা প্রত্যেক বছরই হয়ে থাকে। নির্বাচন পড়ে গিয়েছে বলে পড়ুয়ারা লেখাপড়া করবে না!‌ এটা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় নয়। সম্প্রতি নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অসাংবিধানিক ভাষা প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। আর আটদিনের মাথায় লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। আর তার আগেই স্কুলে নোটবুক বিলি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল বিজেপি। যুক্ত করা হয়েছে রাজ্য সরকারকেও। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে বিজেপি। রাজ্য সরকারি স্কুলে বিলি করা নোটবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। যেটাকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ বলে দাবি করছে বিজেপি। এই বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

তবে এখানেই শেষ নয়, গোটা বিষয়টি এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নোটবুক দেয় শিক্ষা দফতর। সরকারি স্কুলে যে নোটবুক দেওয়া হচ্ছে তাতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, ওই নোটবুক বা খাতায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কার্যত রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপনের কাজ করছে। যেটা নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী করা যায় না। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই খাতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরানোর দাবি জানিয়েছে তাঁরা।

 

এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। আক্রমণ করেছেন শিক্ষা দফতর এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। শুভেন্দু নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘‌শিক্ষা দফতর হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেছে এবং পড়ুয়াদের নোটবুক বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আদর্শ নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি। তাই মুখ্য়মন্ত্রী ছবি দেওয়া নোটবুট বিলির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে পড়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের মনে হতে পারে, অভিভাবকদের প্রভাবিত করতেই নোট বুক বিলি করা হচ্ছে। শিক্ষা দফতরের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ফেলা এবং স্বামী বিবেকানন্দ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছবি ছাপিয়ে নোটবুক বিলি করা।’‌

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই নোটবুক বা খাতা আজ নতুন বিলি হচ্ছে না। এটা প্রত্যেক বছরই হয়ে থাকে। নির্বাচন পড়ে গিয়েছে বলে পড়ুয়ারা লেখাপড়া করবে না!‌ এটা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয় নয়। সম্প্রতি নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অসাংবিধানিক ভাষা প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধেও বড় বড় অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন দেখার এই জল কতদূর গড়ায়।