রাজ্যে সাত দফা লোকসভা নির্বাচন। আদর্শ আচারণ বিধির কারণে সম্প্রতি ঘর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান দেওয়াতে বাধ সেধেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রথমে একেবারে নাকচ করে দিলেও পরে সীমিত অর্থের ক্ষতিপূরণের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার প্রচার সভা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও এক পা এগিয়ে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতপূরণ দেবে। লম্বা সময় ধরে নির্বাচন চলাকে এবার কটাক্ষ করলেন মমতা ।
শনিবার জলপাইগুলির সভা থেকে তিনি বলেন, ' কখনও তিন মাস ধরে নির্বাচন হয় শুনেছেন? পাঁচ বছরের একটি নির্বাচিত সরকার যদি তিন মাস ধরে লোকসভা নির্বাচন, এক মাস ধরে পঞ্চায়েত নির্বাচন করে, একটা বছর তো চলে গেল শুধু নির্বাচন করতে। এরই মধ্যে পুরসভার নির্বাচন আছে, উপনির্বাচন আছে, তাহলে কাজটা হবে কবে এটা একবারও কি ভেবে দেখেছেন ঘুটি সাজানোর বাবুরা।'
মমতা এদিন নিজের ব্যস্ত সফরসূচি জানিয়ে বলেন, '১৩-১৪ দিন উত্তরবঙ্গে আছি। এরপরে কালী পুজো দিতে কলকাতায় যাব। আবার ফিরে আসব। বীরপাড়া, ময়নাগুড়িতে সভা করে শিলিগুড়িতে আসব। মিছিল করব। ১৭ তারিখ অসমে যাব। সেখানে ৪ আসনে লড়ছি। ১৮ তারিখ উত্তরবঙ্গে। সম্ভবত দুই দিনাজপুর। তার পরে মালদা।'
আরও পড়ুন। নিজেকে 'ভূমিপুত্র' বলেও আসানসোলে ডিফেন্সিভ বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র অহলুওয়ালিয়া
গত ৩১ মার্চ টর্নেডেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ে বহু মানুষের ঘরবাড়ি উড়ে যায়। আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানায় নবান্ন। কিন্তু প্রথমে সেই আবেদন খারিজ করে দিলেও পরে ২০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন কমিশন। শুক্রবার জলপাইগুড়ির এক সভা থেকে তা নিয়ে সরব নিয়ে সরব হন অভিষেক। সরকারের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় দেবে বলে জানা তিনি। সভা থেকে তিনি এও বলেন, 'নির্বাচন কমিশন আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কেস করতে চাইলে করতেই পারে, কিন্তু আমরা অর্থসাহায্য করবই।’
এদিন এসব নিয়ে কোনও কথা না বললেও মমতা নির্বাচনের দফা নিয়ে আবারও কটাক্ষ করলেন।
আরও পড়ুন। বহরমপুরে মন্দিরের সামনে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখে অধীর, মেজাজ হারিয়ে কষালেন চড়
লোকসভা নির্বাচনের সব আপডেট খবর পড়ুন এখানে ক্লিক করে।