লোকসভা ভোটে জিতলে দেশে সম্পত্তি পুনর্বণ্টনের সমীক্ষা চালাবে কংগ্রেস সরকার। এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। শনিবার তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলে তাঁদের সরকার একটি আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা চালাবে। দেশের সম্পদের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে রয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্যই এই সমীক্ষা চালানো হবে। শুধু তাই নয়, এরপরে সেই সম্পত্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্বণ্টন করা হবে বলেও দাবি করেন রাহুল গান্ধী। (আরও পড়ুন: 'ওয়েনাড়ে জিতে কিছু হবে না', লোকসভা ভোটের আগে রাহুলকে 'চরম বার্তা' PK-র)
আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে 'চমক' দেখাবে BJP, বাংলাতে হবে অবাক করা ফল, বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের
টুক্কুগুড়ায় একটি জনসভায় দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে রাহুল বলেন, 'যত জনসংখ্যা, ততটা অধিকার' নীতির উপর জোর দেবে কংগ্রেস। তিনি বলেন, 'প্রথমে, আমরা পিছিয়ে পড়া জাতি, এসসি, এসটি, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য বর্ণের সঠিক জনসংখ্যা এবং অবস্থা জানতে একটি জাতিশুমারি পরিচালনা করব। এর পরে, আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমীক্ষা শুরু হবে। তারপরে, তাদের জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে এই সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ভারতের সম্পদ, চাকরি এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে বন্টন করার জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হবে।' (আরও পড়ুন: 'তৃণমূল করলে নাগরিকত্ব নয়' মন্তব্যের জের, 'কমিশনের নির্দেশে' শান্তনুর নামে FIR)
আরও পড়ুন: শান্তনু ঠাকুরের সামনে জুতো পরে বড়মার ঘরে কেন্দ্রীয় বাহিনী? আঘাত মতুয়া ভাবাবেগে!
রাহুল দাবি করেছেন যে পিছিয়ে পড়া জাতি, দলিত, সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীরা ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ। কিন্তু সরকারি চাকরি, বড় কোম্পানি এবং অন্যান্য সেক্টরে তাদের সামান্যই অংশিদারিত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, 'সত্যিটা হল ভারতের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বক্তব্য রাখতে পারে না। যে ৯০ জন আইএএস অফিসার দেশের প্রশাসন পরিচালনা করেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র তিনজন পিছিয়ে পড়া জনজাতির, একজন আদিবাসী এবং তিনজন দলিত। যদি দেশে ১০০ টাকা খরচ হয়, তাহলে সেখানে মাত্র ৬ টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পিছিয়ে পড়া জনজাতির অফিসাররা।'
আরও পড়ুন: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় চরম ব্যস্ত থাকবে ISRO, আন্ধকারে 'আলো' খুঁজবে আদিত্য
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস তাদের ইস্তেহারের নাম দিয়েছে 'ন্যায় পত্র'। এই ইস্তেহারে ৫ টি ন্যায় এবং ২৫টি গ্যারান্টি রয়েছে। ইস্তেহারে কংগ্রেস দাবি করেছে তারা ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য, ঘৃণামূলক অপরাধ এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শক্ত হাতে দমন করবে। এর পাশাপাশি ভোটে জিতলে গণপিটুনি এবং পুলিশ এনকাউন্টারের মাধ্যমে হত্যার বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণে আনবে কংগ্রেস। কংগ্রেসের বক্তব্য, এভাবে মুসলমানদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ইস্তেহারে কংগ্রেস দাবি করেছে, এক্ষেত্রে দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে তারা ক্ষমতায় এলে এভাবে অহেতুক বুলডোজার চালানো বন্ধ করবে বলেও দাবি করে কংগ্রেস। এদিকে কংগ্রেস আরও জানিয়েছে, কেন্দ্রে তাদের সরকার গঠন করা হলে প্রেম এবং বিয়েতে হস্তক্ষেপ করবে না। কংগ্রেস আরও বলেছে, খাদ্য এবং পোশাকের ব্যক্তিগত পছন্দ এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় অযৌক্তিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এমন সমস্ত আইন বাতিল করবে।