কেশিয়াড়ি কেন্দ্রটি তফসিলি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। কেশিয়াড়ি কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরেশ মুর্মু। বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন সোনালী মুর্মু। বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের পুলিনবিহারী বাস্কে।
রাজ্যের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে এই জেলা তৈরি হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। কেশিয়াড়ি এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় কেশিয়াড়িতে ভোট হবে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন পরেশ মুর্মু৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০৪,৮৯০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী বীরম মান্ডি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬৪,১৪১৷ বীরমকে ৪০,৭৪৯ ভোটে পরাজিত করেন। বাম দুর্গ বলে পরিচিত কেশিয়াড়ি থেকে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মোট ছ’বার জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী মহেশ্বর মুর্মু। ২০০১ এবং ২০০৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্যামচরণ মান্ডিকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের গৌরী টুডু, ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের রেখা কিস্কু, ১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের বুধানচন্দ্র টুডুকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের ক্ষুদিরাম সিং ও কংগ্রেসের বুধানচন্দ্র টুডুকে পরাজিত করেছিলেন তিনি। ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের বুধানচন্দ্র টুডু এই আসন থেকে জয়লাভ করেছিলেন। তবে এর আগে কেশিয়ারি কেন্দ্রটি ছিল না।