নন্দীগ্রামে কে জিতেছেন, তা নিয়ে একটা সময় রীতমতো ধন্দ তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও সন্ধ্যার দিকে নন্দীগ্রামে নিজরের হার স্বীকার করে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, লড়াইয়ের জন্য কিছু ‘উত্সর্গ’ করতে হয়।
রাজ্যে ঘাসফুল শিবিরের দাপুটে পারফরম্যান্সের রবিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে নিজে থেকেই নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামের জন্য চিন্তা করবেন না। একটা জিনিস মনে রাখবেন, লড়াইয়ের জন্য আপনায় কিছু উত্সর্গ করতে হয়। আমি নন্দীগ্রামের জন্য লড়াই করেছি। আমি একটা আন্দোলন চালিয়েছি। নন্দীগ্রাম যা রায় দিয়েছে, তা স্বীকার করে দিয়েছি। এটা শুধুমাত্র ম্যাচ ছিল।’
রবিবার নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে মমতা এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথম কয়েক রাউন্ডে শুভেন্দু অনেকটা এগিয়ে গেলেও ক্রমশ ব্যবধান কমিয়ে ফেলতে থাকেন মমতা। একটা সময় কিছুটা এগিয়েও যান। কিন্তু শেষের দিকে আবার লড়াইয়ে ফিরে আসেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ রাউন্ডের গণনার শেষে শুভেন্দুর থেকে ৮২০ ভোটে এগিয়েছিলেন মমতা। হাড্ডাহাড্ডি শেষ রাউন্ড শুরু পর সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের তরফে জানানো হয়, ১,২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। যদিও কিছুক্ষণ পর বিজেপিের তরফে দাবি করা হয়, মমতা নয়, নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু। ফলে নন্দীগ্রামে ঠিক কী হয়েেছে, নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
তারইমধ্যে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের মমতা বলেন, ‘কোনও কনফিউশন নেই, বরং ভালোই হয়েছে। নাহলে বারবার করে অতদূরে যেতে হত। ভালোই হত। মানুষ যা করেছেন, ভালোর জন্যই করেছেন। আমি তাঁদের সেলাম জানাতে চাই। তাঁরা যে রায় দিয়েছেন, তা ঠিক আছে। তবে আমি কোর্টে যাব। কারণ আমার কাছে খবর আছে, জয়ের বিষয়ে ঘোষণা হওয়ার পরেও কিছু কারচুপি হয়েছে। সুতরাং সেই কারচুপি কী, তা আমি খুঁজে বের করব। পর্যালোচনা করব এবং প্রয়োজনে কোর্টে যাবে।’
শেষপর্যন্ত রবিবার রাতে কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখানো হয় যে নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন শুভেন্জু। জয়ের ব্যবধান একেবারেই কম। তার আগেই অবশ্য নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।