কেরিয়ারের শুরু থেকেই স্টারকিডের তকমা জড়িয়ে রয়েছে তাঁর সঙ্গে। দু-দশক পরেও বচ্চনপুত্র হিসাবেও আজও অনেকের কাছে পরিচিত তিনি। এর জেরে হামেশাই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েন অভিষে বচ্চন। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিংয়ের যোগ্য জবাবও দিয়ে থাকেন এই বলি তারকা । গতকাল জারি করা Unlock-5 গাইডলাইন, এবং প্রায় সাত মাস পর করোনা আবহে ১৫ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে । আর এই খবরেই নিজের আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি বিগ বি পুত্র , উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন টুইটারে । আর সেই নিয়েই শুরু হয়ে যায় ট্রোলিং।
তাঁর টুইটের প্রেক্ষিতে একজন লেখেন , সিনেমা হল খুললেও আপনার উচ্ছ্বাস অহেতুক , কারণ আপনি তারপরেও ঠিক আগের মতোই জবলেস (কর্মহীন) থাকবেন । প্রত্যুত্তরে অভিষেক বলেন - অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্যি যে আমাদের কাজের সাফল্য পুরোটাই নির্ভর করে আপনাদের মতো দর্শকদের হাতে । আমাদের কাজ আপনাদের ভালো না লাগলে আমরা পরের কাজে সুযোগই পাই না । কাজেই আমাদের সবটুকু দিয়েই আমরা আপনাদের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করি ।
পূর্বেও নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে এই ধরণের পরিস্থিতি সামলেছেন অভিনেতা । এবার স্ট্রেট ব্যাটে খেলে ট্রোলাদের কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন জুনিয়র বি। গত মাসেই ব্যাঙ্গের সুরে একজন পোস্ট করেছিল , অভিষেকের ফলোয়ারের সংখ্যা অভিনেত্রী প্রাচী দেশাইয়ের মতো ট্যালেন্টেড নায়িকার থেকেও বেশি । উত্তরে অভিষেক জানান একজন অভিনেতার সাফল্যের মাপকাঠি কখনোই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারের সংখ্যার দ্বারা নির্বাচিত হতে পারে না । প্রাচী একজন দক্ষ শিল্পী এবং সুযোগ্য অভিনেত্রী , সর্বোপরি সে আমার খুব ভালো বন্ধু ।
এমনকি করোনায় আক্রান্ত হয়ে যখন অমিতাভের সাথে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন , সেই সময়েও ট্রোলিং করতে ছাড়েননি নেট-নাগরিকরেরা । একজন টুইট করেন ,এখন তো আপনার বাবাও হাসপাতালে ভর্তি , এবার কার ভরসায় বসে খাবেন ? বচ্চন পুত্রের চটজলদি উত্তর , ‘আপাতত তো বসে নয় , শুয়েই খাচ্ছি , তাও বাবার সাথেই একই জায়গায়’।
অভিষেককে শেষ দেখা গিয়েছিলো আমাজন প্রাইমের ওয়েব সিরিজ ব্রিথ : ইনটু দ্যা শ্যাডোস এ । এছাড়াও ডিজনি + হটস্টারের মঞ্চে মুক্তি পেতে চলা দ্য বিগ বুল এবং নেটফ্লিক্সের লুডো র মতো প্রোজেক্ট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে ।