শুরু থেকেই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে স্টার জলসার ভক্তিমূলক মেগা ‘রামপ্রসাদ’। সাধক বামাক্ষ্যাপা রূপে দর্শকদের মন জয় করবার পর, আরও এক আইকনিক চরিত্রে সব্যসাচী চৌধুরীকে দেখতে শুরু থেকেই মুখিয়ে ছিল দর্শক, সঙ্গে সুস্মিলির কামব্যাক। মা কালীর চরিত্রে পায়েল দে-ও প্রশংসা কুড়োচ্ছেন। সব মিলিয়ে শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় ঝাঁকিয়ে বসেছে এই সিরিয়াল।
‘মিঠাই’কে হারানোর পর এবার নতুন প্রতিপক্ষ ‘গৌরী এলো’কেও পিছনে ফেলেছে ‘রামপ্রসাদ’। স্লট ধরে রাখতে সফল সব্যসাচী-সুস্মিলি-পায়েলরা। এর মাঝেই নতুন মোড় আসছে ধারাবাহিকে। এবার ‘রামপ্রসাদ’-এ দেখা মিলবে সপ্তদশ শতাব্দীর জনৈক তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের। সেই চরিত্রে দেখা মিলবে বাংলার রঙ্গমঞ্চের জনপ্রিয় অভিনেতা তথা পরিচালক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের।
তন্ত্র সাধনার আগম পদ্ধতিতে সিদ্ধি লাভ করে তিনি 'আগমবাগীশ' উপাধি পান কৃষ্ণানন্দ। বাঙালির কাছে তিনি কালী সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ নামেও পরিচিত। ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থের রচয়িতা আগমবাগীশ ছিলেন রামপ্রসাদ সেনের তন্ত্রগুরু। প্রচলিত রয়েছে, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে প্রথম দক্ষিণাকালীর রূপ কল্পনা করেন।
দু-বছর পর ‘রামপ্রসাদ’-এর হাত ধরে টেলিভিশের পর্দায় ফিরছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। খুশি অভিনেতা। তিনি জানান, 'এই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। যে চরিত্রটি আমি করছি কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ… উনি প্রথম মা কালীকে কল্পনা করেছিলেন, রূপ দিয়েছিলেন। প্রচলিত রয়েছে উনি একদিন সকালে উঠে মা কালীকে দেখেছিলেন ঘুঁটে দিতে। চরিত্রটা ঐতিহাসিক চরিত্র, যিনি প্রথম মা দক্ষিণাকালীর রূপ কল্পনা করেছেন, সেই চরিত্র করতে পেরে আমি গর্বিত'।
এরপর সহশিল্পীদের প্রশংসা করে দেবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন- ‘মন্টুদা, অনিন্দ্য, সব্যসাচী-সহ সকলেই খুব গুণী অভিনেতা। খুব ভালো লাগছে সকলের সঙ্গে কাজ করে। দু-বছর পর আমি কোনও মেগা সিরিয়ালে কাজ করছি, তাও রামপ্রসাদে। যেটা আমার অত্যন্ত পছন্দের চরিত্র’।
ভেদাভেদের এই সময়ে ‘রামপ্রসাদ’-এর মতো সিরিয়াল খুব জরুরি জানান অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘আজকের এই ভেদাভেদের সময়ে রামপ্রসাদ আমাদের ধর্মীয় উত্তরণের কথা বলেন। সম্প্রীতির কথা বলেন, আমার মনে হয় আমার চরিত্রটাও দর্শকদের ভালো লাগবে’।
জানা যাচ্ছে, ৮ই জুলাইয়ের এপিসোডে প্রথম দেখা মিলবে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ রূপী দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর লুক ইতিমধ্যেই সামনে এনেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে তিলক, গায়ে গেরুয়া বসন-- তন্ত্রসাধকের ভূমিকায় দেবেশ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে চেনা দায়। তাঁর এই চরিত্র টিআরপি তালিকায় ‘রামপ্রসাদ’কে আরও কতখানি এগিয়ে দেয় সেটাই দেখবার।