‘পিলু’র পর বন্ধের পথে জি বাংলার আরও এক ধারাবাহিক! হ্যাঁ, টেলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন শেষ হচ্ছে ‘লালকুঠি’। চিরাচরিত ছকের বাইরে হেঁটে জি বাংলায় শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহির। শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়া বা গ্রামের মেয়ের শহুরে ছেলের প্রেম কিংবা কোনও মেয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প নয়- রহস্য-রোমাঞ্চের মোড়কে প্রেমের গল্প উঠে এসেছে ‘লালকুঠি’তে। কিন্তু মাত্র ৬ মাসেই নাকি ইতি পড়তে চলেছে এই সফরে, অন্তত তেমনই গুঞ্জন।
গত কয়েক মাসে একের পর এক ধারাবাহিক বন্ধ হয়েছে। কিছু প্রত্যাশিত, কোনও কোনওটা আবার একদম চমকে দেওয়ার মতো। বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম হিট অনস্ক্রিন জুটি রাহুল-রুকমা। ‘দেশের মাটি’র রাজা-মাম্পি মাস কয়েকের মধ্যেই পর্দায় কামব্যাক করে জি বাংলার থ্রিলারধর্মী সিরিয়াল ‘লালকুঠি’ নিয়ে। বিক্রম-অনামিকার গল্প শুরু থেকেই ‘রাম্পি’র জনপ্রিয়তা ছুঁতে পারেনি। দুজনের অফস্ক্রিন কেমিস্ট্রি নিয়েও চর্চা কম নয়, তবুও ‘লালকুঠি’ শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাত সাড়ে ন-টার স্লটে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র মুখোমুখি এই ধারাবাহিক। স্লট লিডার পর্যন্ত হতে পারেনি ‘লালকুঠি’। টিআরপি তালিকায় হিট না হলে, বিশেষত স্লট লিডার না হতে পারলে চ্যানেলের তরফে হুড়মুড়িয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেই সকল সিরিয়াল। তাই ‘লালকুঠি’র উপর কোপ পড়বার আশঙ্কা বহুদিনের।
প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে এখনও সিরিয়াল বন্ধের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে চ্যালেন কর্তৃপক্ষ খুব বেশি দিন টেনে নিয়ে যাবে না এই সিরিয়ালকে। ‘জি বাংলা’-এ আসতে চলেছে বেশ কিছু নতুন ধারাবাহিক। রুবেল দাস, পল্লবী শর্মা জুটির ‘নিম ফুলের মধু’ জায়গা নিচ্ছে মিঠাই-এর। আর ১৪ই নভেম্বর থেকে ‘পিলু’র স্লটে দেখা যাবে মিঠাই। এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই হানি বাফনা এবং শ্বেতা ভট্টাচার্যের একটি ধারাবাহিক আসতে চলেছে জি বাংলায়। সেটি শুরু হলে বন্ধ হতে পারে ‘লালকুঠি’। টেলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘জি বাংলা’য় কামব্যাক করবেন স্বস্তিকা দত্তও। খোঁজ চলছে নায়কের।
লালকুঠি-র টিআরপি কম, এই প্রসঙ্গে মাস কয়েক আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে রাহুল জানিয়েছিলেন, ‘যেটা আমার কন্ট্রোলে নেই সেটা নিয়ে তো আমি কিছু করতে পারব না। আমি পারব নিজের শটটা সবটা মনোযোগ দিয়ে দেওয়ার’। পাশাপাশি তাঁর যুক্তি ছিল, ‘টিআরপি নিয়ে কথা হলেও একটা জিনিস নিয়ে কথা হয় না, প্রত্যেকটা চ্যানেলের একটি নিজস্ব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে কোন সিরিয়ালের কী অবস্থান। লালকুঠির ওটিটি-গত অবস্থান অসম্ভব ভালো বললেও কম বলা হবে’।