এই মুহূর্ত বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে চর্চিত অনস্ক্রিন জুটি তাঁরা। সূর্য-দীপার যেন মিল হয়ে যায়, এমনটাই প্রার্থনা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ভক্তদের। পর্দার মিল তো লেখকের হাতে, কিন্তু বাস্তবেও স্বস্তিকা-দিব্যজ্যোতির যাতে মিল হয়, সেই আশায় দিন গুণছেন অনুরাগীরা। গত মাসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরকে আনফলো করেন স্বস্তিকা-দিব্যজ্য়োতি। তারপর থেকেই দুজনের ঝামেলার খবর আগুন গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। দুজনের মনোমালিন্যের খবর মেনেও নিয়েছেন নায়ক। কিন্তু দিব্যজ্যোতির জন্মদিনে খানিক হলেও বরফ গলল দুই বন্ধুর সম্পর্কে।
শনিবার আরও এক বসন্ত পার করে ফেললেন দিব্যজ্যোতি। সোনা-রূপার বাবা এদিন ২৪ পেরিয়ে ২৫-এ পা দিলেন। ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁতেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন দিব্যজ্যোতি। তবে সবচেয়ে স্পেশ্যাল শুভেচ্ছা এল স্বস্তিকার তরফে। সব ‘ঝামেলা’ ভুলে হিরোর জন্মদিনের উইশ করতে ভুললেন না পর্দার দীপা।
উত্তরবঙ্গে শ্যুটিংয়ের ফাঁকে তোলা একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করেন স্বস্তিকা। সেখানে পাহাড়ি কন্যার বেশে দেখা গেল অভিনেত্রীকে, আর দিব্যজ্যোতি একদম ‘ডাক্তারবাবু’ সূর্যর লুকে। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে পোজ দুজনের। বার্থ ডে বয়ের উদ্দেশে স্বস্তিকার বার্তা, ‘হ্যাপি বার্থ ডে হিরো…ভালো থাক, সবসময় আনন্দে থাক। আরও ভালো কাজ কর'। কিন্তু এতে কি রাগ কমল দিব্যজ্যোতির?
এই প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি দীপার শুভেচ্ছার কোনও জবাব সূর্য দেয়নি। দিব্যজ্যোতিকে শুভেচ্ছা জানালেও ইনস্টা পোস্টে নায়ককে ট্যাগ করেননি স্বস্তিকা। তাই নিন্দকদের অনেকে অবশ্য এই শুভেচ্ছাকে ‘লোক দেখানো’ বলছেন।
এদিন অনুরাগের ছোঁয়া পরিবারের অন্য সদস্যরাও দিব্যজ্যোতিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। পর্দার শ্যালিকা তথা ভাইবউ সৌমিলির শুভেচ্ছার জবাবে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি দিব্যজ্যোতি। শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে পর্দার ভাই প্রারব্ধির তরফেও।
দিব্যজ্যোতির সঙ্গে অফস্ক্রিনে মাসকয়েক আগেও জমজমাট বন্ধুত্ব ছিল স্বস্তিকার। মাস কয়েক আগেও একসঙ্গে জিম করতে দেখা যেত দুজনকে। ছুটির দিনে পুলের জলে গা ভিজিয়ে নিতেন তাঁরা। একসঙ্গে আড্ডা দিতেন চুটিয়ে। গোপনে প্রেম করছেন তাঁরা, এমন গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই তাঁদের বন্ধুত্বে চিড়!
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা দিব্যজ্যোতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে অকপটে মুখ খুলেছিলেন। তাঁর কথায়, সিরিয়াল শুরুর পর দিব্যজ্যোতির সঙ্গে খুব-বেশি কথা হত না তাঁর। কিন্তু দু-তিন মাসে সব বদলে যায়। পর্দার দীপার কথায়, ‘দু থেকে তিন মাস পর থেকে যখন ওর সঙ্গে আমার প্রচুর প্রচুর সিন আসতে থাকে, তখন ওর সঙ্গে আমার ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। আর চার মাসের মাথায় আমার সঙ্গে ওর তুতুকারি শুরু হয়। দিব্যর সঙ্গে আমার মেন্টালিটি ম্যাচ করে। আমি খুব বেছে বন্ধু বানাই। হঠাৎ করে কাউকে বন্ধু বানাতে পারি না। ওর সঙ্গে আমার খুব স্ট্রং বন্ধুত্ব। তাই হয়তো দর্শকের মনে হয় আমরা প্রেম করি। সেটা কিন্তু একদম নয়।’