দ্য আর্চিস নিয়ে জবাব অগস্ত্যর
বচ্চন পরিবারের নাম জড়িয়ে রয়েছে তাঁর সঙ্গে। শুধু বচ্চন নয়, কাপুর খানদানের রক্তও বইছে তাঁর শরীরে। সুতরাং তাঁর ডেবিউ ছবি ঘিরে চর্চার শেষ ছিল না। তবে প্রত্যাশাপূরণে পুরোপুরি সফল হননি বচ্চনের নাতি। জোয়া আখতারের ‘দ্য আর্চিস’-এর হাত ধরে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছেন অগস্ত্য নন্দা।
অভিনয় কেরিরায়ের শুরু থেকেই সুহানার সঙ্গে অগস্ত্যর প্রেম নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। সেই রটনা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি দুজনেই। তবে আর্চি হয়ে যে সমালোচনার মুখে পড়েছেন, অবশেষে তার জবাব দিল শ্বেতা বচ্চনের ছেলে। কটাক্ষ, বিদ্রুপ হজম করতে শুরুতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে অগস্ত্যকে। নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আটকানো তাঁর পক্ষে সম্ভবপর নয়- সেটা বুঝতে অনেকটা সময় লেগেছে, জানালেন অগস্ত্য।
ফিল্ম কম্পানিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘সত্য়ি বলছি, আমি জানতাম না কী করে এই সমালোচনাকে সামাল দিতে হয়। এত মানুষের এত মতামত… সেটা ঠিক আছে। সবার মতামত থাকাটা জরুরি, কিন্তু চারিদিকে কী ঘটছে সেটা বুঝতে পারিনি। অনেক মানুষ ঘৃণা উগরে দিয়েছেন, কিছু মানুষ পছন্দ করেছেন, কেউ কেউ কোনও মতই প্রকাশ করেননি।’
নিজের ঢাক নিজেই পিঠিয়ে অগস্ত্য বলেন তাঁর ‘ দ্য আর্চিস’ দুর্দান্ত লেগেছে। ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে এই ছবিটা তৈরি করা হয়েছে, জানান শ্বেতা-পুত্র। তাঁর কথায়, ‘এটা আমার প্রথম প্রয়াস ছিল, আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব দ্বিতীয়বার, সেটাও যদি সফল না হয় তাহলে তৃতীয়বার কিংবা চতুর্থবার চেষ্টা করব। এই বিষয়টা উপলব্ধি করতে একটু সময় লেগে গেছে’।
মাত্র ২৩ বছর বয়স অগস্ত্যর। জোয়ার ছবির সুবাদেই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে তিনি। তাঁর কাছে ব্যাপারটা গ্লাস অর্ধেক খালি আর অর্ধেক ভর্তির মতো। দ্য আর্চিস থেকে প্রাপ্তিযোগ নেহাত কম নয়। অগস্ত্য বললেন, ‘আমি ছয়জন বন্ধু পেলাম। একটা দুর্দান্ত এক্সপোজার পেলাম। এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে নিজেকে মেলে ধরতে পারলাম, আমি কৃতজ্ঞ। এই সুযোগটা পেতেই তো কত মানুষকে কত পরিশ্রম করতে হয়। আমি মন খারাপ নিয়ে বসে থাকব না, আমি নিজের সেরাট দেব’।
অগস্ত্যর মতোই কেরিয়ারের শুরুতে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন বচ্চন-পুত্র। নিজেকে মোটিভেট করতে খারাপ রিভিউ সংবাদপত্র থেকে কেটে দেওয়ালে সেঁটে রাখতেন অভিষেক। তবে মামার পথে হাঁটায় বিশ্বাসী নন অগস্ত্য। এমন ‘ডার্ক অ্যাপ্রোচ’ তিনি নেবেন না, স্পষ্ট বলেন।
তারকাদের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। দাদু, দিদিমা, মামা-মামিমা, সকলে দেশের সুপারস্টার। কিন্তু তারকা হতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অগস্ত্য। জানালেন, ‘ভেবেছিলাম সকলে আমাকে আলিঙ্গন করবে, চুমু খাবে, ভালোবাসবে। কিন্তু জানতাম না এক ঘৃণাও সহ্য করতে হবে। ভেবেছিলাম খুব সহজ হবে। তুমি একটা ছবি করবে, লোকে তোমাকে ভালোবাসবে, তুমি স্টার হয়ে যাবে। সব ভালো হবে এমন ধারণা ভেঙে গেল যখন প্রথম রিভিউ আসতে থাকল। বুঝলাম, না বস! ব্যাপারটা সেরকম নয়’।
ইতিমধ্যেই রুপোলি পর্দায় অভিষেকের প্রস্তুতিতে অগস্ত্য। ইক্কিস ছবিতে দেখা মিলবে তাঁর। সঙ্গী হবেন ধর্মেন্দ্রর মতো অভিজ্ঞ সুপারস্টার। শ্রীরাম রাঘবনের এই ছবিতে থাকছেন জয়দীপ এহলাওয়াতও।