টলিউডের অন্যতম হ্যাপেনিং কাপল হলেন অনিন্দিতা রায়চৌধুরী এবং সুদীপ সরকার। দেড় বছর আগে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ ধারাবাহিকে পটলের মা এখন ছোট পর্দার বেশ জনপ্রিয় মুখ। একাধিক ধারাবাহিকে দেখা যায় তাঁকে। কখনও পজিটিভ রোলে, কখনও আবার নেগেটিভ চরিত্রে। আর তাঁর বেটার হাফ সুদীপও তাই। কিন্তু তাঁদের প্রেমের গল্প হয়তো অনেকেই জানেন না। এবার দিদি নম্বর ১ এর মঞ্চে এসে সেই গল্পই ফাঁস করলেন অনিন্দিতা।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্পে গল্পে তিনি জানান, 'আমি আর সুদীপ একসঙ্গে গোয়েন্দা গিন্নি বলে একটা ধারাবাহিকে কাজ করি। সেখানে আমি ওর বোন আর ও আমার দাদা হয়েছিল। সিনে দেখানো হয় যে আমি মারা গেছি। আর ও আমায় ধরে কাঁদছে।' এটা শুনেই হাসিতে ফেটে পড়েন রচনা। মজা করে বলে ওঠেন, 'বোন থেকে সোজা বউ! ও বোন রে ওঠ রে করতে করতেই বউ হয়ে গেলি! এখন ও বউ কোথায় গেলি করে।' সঞ্চালিকার কথায় এদিনের সকল প্রতিযোগী অর্থাৎ অনিন্দিতা, অদৃজা, মিশমী, প্রীতি সকলেই হাসিতে ফেটে পড়েন।
অনিন্দিতা এরপর জানান তাঁদের সুখী দাম্পত্যের গোপন রহস্যও। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমাদের ঝগড়া ৫ মিনিটও টেকে না। আমি ঝগড়া করলে ও পাশের ঘরে চলে যায়। আমি তাতে খুব রেগে যাই। কিন্তু তারপর ভাবি রাগ করে কী হবে এর সঙ্গেই তো থাকতে হবে। তারপর নিজেই গিয়ে আবার খোঁচাই। তাছাড়া আমরা ভীষণ ঘুরি।'
আরও পড়ুন: খলনায়িকার মতোই বাড়িতে হাবভাব করেন ‘জগদ্ধাত্রী’র দিব্যা! রচনার কাছে অভিযোগ প্রিয়ার মায়ের
কিন্তু এত ব্যস্ত শিডিউলে কী করে সময় পান ওঁরা ঘুরতে যাওয়ার জন্য? এই বিষয়ে তিনি বলেন, '৬ মাস অন্তর অন্তর ঠিক যেভাবে হোক ৪-৫ দিনের একটা ছুটি ম্যানেজ করে নিই। দিয়ে বেরিয়ে যাই। এছাড়া সেকেন্ড সানডে অফ থাকে যেহেতু, সেহেতু তার আগের শনিবার বিকেল পর্যন্ত কাজ করে কখনও কখনও বেরিয়ে আবার সোমবার ভোরে ফিরে আসি।'