অনেকেরই ধারণা মিঠাই সিরিয়ালের টিআরপি কমে যাওয়ার বড় কারণ ছিল মেগার দুই নায়ক-নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু আর আদৃত রায়ের মধ্যে ঝামেলা। রিলসের যুগে গোটা টিম একসঙ্গে ভিডিয়ো বানালেও, একসঙ্গে একবারও দেখা দেননি দর্শকদের আদরের সিড-মিঠাই। আর এবার খবর, বাংলার আরেক নম্বর ওয়ান শো ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র সূর্য আর দীপা অর্থাৎ দিব্যজ্যোতি দত্ত আর স্বস্তিকা ঘোষের মধ্যেও একেবারে বনিবনা হচ্ছে না। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একে-অপরকে আনফলোও করে দিয়েছেন।
মাস কয়েক আগেও একসঙ্গে জিম করতে দেখা যেত দুজনকে। ছুটির দিনে পুলের জলে গা ভিজিয়ে নিতেন তাঁরা। মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিতে বসতেনও একসঙ্গে। আর বসেই শুরু হয়ে যেত লেগ পুলিং। আবার কখনও একে-অপরের দরাজ গলায় প্রশংসা। এত ভালো ‘বন্ধুত্ব’ যে, তা ‘প্রেম’ বলেও রটে যায়। কিন্তু সবই এখন অতীত। অনস্ক্রিন জুটির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হওয়ার খবরে চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভক্তদের।
যদিও দিব্যজ্যোতির জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বস্তিকা। নর্থ বেঙ্গল শ্যুটের সময় তোলা একটি ছবি শেয়ার করে চলতি সপ্তাহেই লিখেছেন, ‘হ্যাপি বার্থ ডে হিরো। ভালো থাক। সবসময় খুশি থাক। আর ভালো ভালো কাজ কর।’ তবে এই পোস্টে কোনও কমেন্ট ছোট পর্দার সূর্য করেননি। টলিউড ফোকাসকে এক সাক্ষৎকারে ‘বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া হলে কী করেন’ প্রশ্নের জবাবে দিব্যজ্যোতি জানান, ‘আমার মনে হয় সব কিছু নিজের হাতে ঠিক করা যায় না। কিছু জিনিস সময় ঠিক করে। এক জায়গায় থাকতে গেলে দুটো বাসনের মধ্যে খোটাখুটি লাগবেই। হয়তো বাসনে ট্যাপও পড়বে। তা বলে আমরা বাসনগুলো ফেলে দেই না।’
দিব্যজ্যোতি আর স্বস্তিকার মধ্যে বনিবনা না হওযার খবর প্রথম রটেছিল জুন মাস নাগাদ। সেই সময় এক অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে একে-অপরকে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, এমনটাই শোনা যেতে থাকে। যা অবশ্য তখন মানেননি স্বস্তিকা। বরং বেশ জোর গলাতেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেছিলেন, 'আমরা পাশাপাশি বসেছিলাম, নর্ম্যাল যেমন থাকি একদম তেমনি ছিলাম। আমরা ছবিও তুলেছি প্রচুর, হয়তো সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করিনি। কারা এটা রটিয়েছে আমি জানি না, তবে আমাদের বন্ধুত্ব আগের মতোই অটুট রয়েছে।'
আপাতত, অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকখানা টিআরপি তালিকায় চলতি সপ্তাহেই হারিয়েছে এক নম্বর স্থান। যেখানে উঠে গিয়েছে জি বাংলার জগদ্ধাত্রী। সূর্য-দীপারা নেমে এসেছে দুইয়ে। স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে আপাতত দেখানো হচ্ছে দুই মেয়ে সোনা আর রূপাকে নিয়ে বাড়ি থেকে অনেকদূর চলে গেছে সূর্য। দুই সন্তানকেই শর্ত দিয়েছে তাঁদের বাবা বা মায়ের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে। এবার দেখা যাবে, দীপা খুঁজতে খুঁজতে সোনা-রূপার নতুন স্কুলে এসে পৌঁছলেও, তাকে দেখে চিনতে অস্বীকার করবে দুই মেয়ে বাবার ভয়ে। আর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনার মুখে পড়বে দীপা।