আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে এখন চারিদিকে চর্চা। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন অরিজিৎ সিং। জানালেন বিজ্ঞানের এই দান নিয়ে তাঁর ভাবনা কী বা সঙ্গীত জগতে এটার প্রভাব কতটা। এই সকল বিষয়ে তিনি দ্য মিউজিক পডকাস্টকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। এখানেই তিনি জানিয়েছেন যে আগামীতে তিনি তাঁর কাজে কীভাবে AI -কে ব্যবহার করবেন, তাঁর কণ্ঠের পেটেন্ট আনবেন।
AI প্রসঙ্গে অরিজিৎ
অরিজিৎ সিং এদিন এই সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমি যদি এখন AI এর বিষয়ে না জানি তাহলে আমি পিছিয়ে পড়ব।' তবে তিনি এটিকে মোটেই কোনও থ্রেট হিসেবে দেখছেন না। বরং এটিকে একটি টুল হিসেবে দেখছেন যেটার মাধ্যমে ক্রিয়েটিভিটি বাড়ানো যেতে পারে। লুট পুট গয়া গায়কের কথায়, 'AI শেষ পর্যন্ত একটা ফিড। যাঁরা এই AI ব্যবহার করে কিছু বানাচ্ছেন তাঁরা জানেন তাঁরা তাতে কোন তথ্য দিচ্ছেন। এটা অনেকটা মানুষের মতোই। তবে এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে AI এর বিপুল সম্ভাবনা আছে, একই সঙ্গে এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিক আছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: কেবল গান নয়, দুর্দান্ত বিরিয়ানিও রাঁধতেন রাশিদ খান! উস্তাদজির মৃত্যুর পর অদেখা ভিডিয়ো পোস্ট মীরের
আরও পড়ুন: 'বাংলা-ওড়িয়া-কন্নড় ভাষায় কেন UPSC দেওয়া যাবে না?' ১২ ফেল দেখে ক্ষুব্ধ বাংলা পক্ষের গর্গ
অরিজিৎ সিংয়ের কথায়, 'AI -কে সাধারণ ভাবে দেখলে একটা থ্রেট। পৃথিবীর সমস্ত মানুষের মতো এখানে বিভিন্ন ধরন আছে। মেডিক্যাল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সব কিছুই তার ফিডে আছে।' তবে এটার যতই নেতিবাচক দিক থাক না কেন ভালো দিকও আছে। বলেন আসলে সমস্ত টেকনোলজিক্যাল অগ্রগতির কিছু সুবিধা কিছু অসুবিধা থাকেই।
আরও পড়ুন: 'তুমি যখন কেবল একটা হৃদস্পন্দন ছিলে...' ছেলের ৫০তম জন্মদিনে আবেগঘন পিঙ্কি রোশন, হৃতিকের জন্য লিখলেন কী?
অরিজিতের কণ্ঠের পেটেন্ট
তিনি জানান তিনি নিজেও AI ব্যবহার করে থাকেন। গায়কের কথায়, 'আমি অডিও এবং ভোকালের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই AI ব্যবহার করে থাকি। আমার কণ্ঠের উপরেও এটা কাজ করেছে। আমাদের একটা পেটেন্ট বানাতে হবে তাই সেটার জন্য আমাদেরও প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। কেউ যদি আমার কণ্ঠ ব্যবহার করেন তাহলে আমি সেটার জন্য অনুমতি দিতে প্রস্তুত। আমার কোনও অসুবিধা নেই।'