আপাতত দেশ-দুনিয়ার খবরের থেকে সরে এসে বাঙালির মন মজে রয়েছে দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি। নতুন পোশাক কেনা, ঘোরার ফ্ল্যানিং এসবই এখন চলছে বেশ তোড়জোড় করে। অনেকের বাড়িতেই আবার অশান্তি পুজোর এই কেনাকাটির নিয়ে। অনেক পরিবারেরই পুরুষ সদস্যরা মনে করছেন, বাড়ির মেয়েরা একটু বেশিই শপিং করে ফেলছেন! যদিও এদিক থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ সুখী। এমনিতেই তাঁর শাড়ি-প্রীতি কারও অজানা নয়। এর আগে নিজেই জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে নাকি ১০ আলমারি ভর্তি শাড়ি।
বছরখানেক আগে এক পুজো আড্ডায় সংবাদমাধ্যমকে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, ‘আমি তো কষ্ট উপার্জিত টাকা অহেতুক খরচা করা পছন্দ করি না। এখনও গড়িহাটে গিয়ে শপিং করি। আমার বা শোভন কারও টাকা নষ্ট করাই আমার ভালো লাগে না। শোভনই বরং অবাক হয়ে যায় আর কিছু নেবে না! আমি যদি একটা চাই, ও সবসময় তিনটে চায়।’
বৈশাখী জানান, তাঁর কলেজের এক কলিগ তাঁকে একদিন ফোন করে বলেছিল, ‘এই তুই কিন্তু সাবধানে থাকিস! আমাদের এখানকার মহিলা কলিগরা শুধু বলে আমাদের জীবনে একটা শোভন নেই কেন! শোভনের মতো পুরুষ আজকাল ভগবান তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে।’ জবাবে বৈশাখী সেই কলিগকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি ভাগ্যবান বাবা! একটাই যদি তৈরি করে থাকে সে আমার।’ আরও পড়ুন: ১০ আলমারি শাড়ি রয়েছে শোভনের বৈশাখীর, দু' লাখের শাড়িও একবার পরা হলে কী করেন?
শোভন পাশ থেকে জানান, ‘তিনটে শাড়ির মধ্যে বাছতে বলে আমাকে। আমি বলি তিনটেই ঘরে নিয়ে যাও। সঙ্গে একটা আলমারি।’
শোভনের সঙ্গে কাটানো প্রথম পুজোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলে বৈশাখী। জানিয়েছিলেন, এক ষষ্ঠীর সকালে খাদ্যমেলা ‘দেখো রে’-তে গিয়েছিলেন একসঙ্গে। চেখে দেখেছিলেন মেলায় থাকা সব মিষ্টি, ফুচকা। সেই ‘মিষ্টি খাওয়ানো’ থেকেই শুরু হয়ে গেছিল হয়তো মিষ্টি সম্পর্কের! যা এখন ছাপ ফেলছে দুজনের সংসারে।
পুজো বরাবরই বিশেষ হয়ে এসেছে শোভন আর বৈশাখীর জীবনে। দু বছর এক পুজোতেই বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন শোভন। গত বছর প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তবে রত্নার সঙ্গে ডিভোর্সের জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শোভন এখনও। দুজনেরই মনে সাধ, ডিভোর্স হয়ে গেলে ‘সহবাস’-কে দেবেন আইনি স্বীকৃতি। তা সে যত বছর পরেই হোক না কেন!