বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Biplab-Abir: ‘এই শিক্ষা দিয়েছেন ছেলেকে?' সিনিয়রকে সম্মান দিতে জানেন না আবির! অভিযোগ বিপ্লবের

Biplab-Abir: ‘এই শিক্ষা দিয়েছেন ছেলেকে?' সিনিয়রকে সম্মান দিতে জানেন না আবির! অভিযোগ বিপ্লবের

ফের বিস্ফোরক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়

‘বয়স্ক মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞান এঁদের নেই। এঁরা অনেককিছু পেয়ে গিয়েছে।’ ফের বিস্ফোরক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।

একটা সময় বাংলা ছবির ‘সুপারহিট ভিলেন’ বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (Biplab Chatterjee)। বড়পর্দার বাইরে ছোটপর্দা, এমনকি থিয়েটারেও সমান সাবলীল এই অভিনেতা। তবে একসময়ের এই দাপুটে খলনায়ক আজ লোকচক্ষুর আড়ালে। বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী এই অভিনেতা সেভাবে আর কাজ পান না টলিপাড়ায়। কিন্তু বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মাঝেমধ্যেই চর্চায় উঠে আসেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। বাংলা সিরিয়ালের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতে গিয়ে মাস কয়েক আগে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে কটূক্তি করে বসেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। পড়ে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন, জানান- ‘উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছি’। 

 সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে টলিউড- সব নিয়েই মন খুলে কথা বলেছেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাপস পালকে গান স্যালুট দেওয়াটাকে সমর্থন করেন? অকপটে তাঁর জবাব, ‘সত্যি কথা বলতে ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগেনি। কারণ এটা নেতাদের দেয়, শহীদদের দেয়। ওরা (রাজ্য সরকার) দিয়েছে ওদের খুশি। সে পেয়ে গেছে বেচারা ভালো। ভালো অভিনেতা ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে পরের দিকে খুব অভদ্র ব্যবহার করেছিল শেষের দিকে।’ কথা প্রসঙ্গে জানান, তাপস পাল এক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, তাঁর মাথায় চপারের আঘাতে ৩৪টা সেলাই পড়েছিল। সেইসময় তাপস পালকে রক্ত দিয়েছিলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। ঠিকই একইভাবে প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের হাতেও দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন তিনি, অভিযোগ বর্ষীয়ান অভিনেতা। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে আবির চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। 

আরও পড়ুন-চিরঞ্জিৎ, তাপস পাল, প্রসেনজিতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য বিপ্লবের! কী এমন বলেছিলেন?

‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বেঙ্গল’কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের এখনকার একজন শিল্পী.. মহান শিল্পী, অনেক পাঠ করছে। সল্টলেক থেকে সে যাবে কালিকাপুর, আমি যাব দেশপ্রিয় পার্ক। সে পরিষ্কার গাড়ির ছেলেটাকে বলল, আগে আমাকে কালিকাপুর নামাবে তারপর দেশপ্রিয় পার্ক যাবে। সে বলল এটা! আমি তো ওর বাবাকে (ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়) বলেছি, ‘এই আপনি শিক্ষা দিয়েছেন ছেলেকে?’ একদম চুপ ওর বাবা।' এখানেই থেমে থাকেননি বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সংযোজন, ‘আমরা নিজেরা…সৌমিত্রদা কোথায় থাকতেন, আমি তাঁকে পৌঁছে দিয়ে নিজে বাড়ি আসতাম। এটা বাড়াবাড়ি নয়, এটা স্বাভাবিক। বয়স্ক মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞান এঁদের নেই। এঁরা অনেককিছু পেয়ে গিয়েছে। এদের মানুষ বলব আমি? কোনওদিন বলব না’। 

 

 

বন্ধ করুন