স্বাস্থ্যসাথী ‘ঢপ’-এর কার্ড, গ্র্যাজুয়েট ছেলেরাও টোটো চালাচ্ছে…রাজ্যে শিল্প নেই,উন্নয়ন অলীক স্বপ্ন। এমনকি করোনায় মৃতের সংখ্যা চাপা দিয়েছে সরকার! রুদ্রনীলের কবিতায় কাল্পনিক চরিত্র, প্রতিবেশী দত্ত বাবু এমনই তোপ দাগল তৃণমূল সরকারের দিকে।
‘ইকির মিকির চাম চিকির.., কাউন্টডাউন শুরু একুশের বিধানসভা ভোটের। আর বিজেপির নতুন তারকা মুখ এবার মমতাকে বিঁধে ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা লিখলেন। তাঁর কথায়,'ভাইপো-ভাইঝি ও দল চালায়, দিদি হাতের পুতুল। সবার দিদি ছিলেন যিনি, পালটে উনি পিসি'।
২৯৪ কেন্দ্র জুড়ে প্রার্থী কেবল দিদি! যদিও গতবারের নির্বাচনেও এই জুমলা দিয়েছিলেন মাননীয়া কিন্তু লাভ কি হয়েছে? প্রশ্ন দত্তবাবুর। এইসব কথা হেলায় উড়িয়ে দিতে পারলেন না রুদ্রনীল। সামান্য দেরিতে হলেও আত্মোপলব্ধি হল তাঁর।
এ রাজ্যে শিল্প নেই, শুধু ভাষণ রয়েছে, স্থানীয় নেতারা ঘুষ নিতে ছাড়ে না, আমফানের ত্রিপল চুরি হয়েছে, কিন্তু কোনও নেতাই জেলে যায়নি। তবে কি দিদিও ওদের দলে? প্রশ্ন করে বসলেন রুদ্রনীল। বা যে চরিত্র তিনি অভিনয় করছেন সেই বিবাহিত পুরুষটি। যার নাম অবশ্যই সাড়ে সাত মিনিট দীর্ঘ এই কবিতায় উহ্যই রয়েছে।
শুধু তৃণমূল নয়, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটকে তোপ দাগতে ছাড়েননি রুদ্রনীল। ঠিক কী বলেছেন রুদ্রনীল দেখে নিন-
দত্তবাবুর ধমক খেয়ে প্রতিবেশী রুদ্রনীলের উপলব্ধি, - ‘৩৪ বছর লালকে দিলাম, সবুজকে দশ সাল, দেখাই যাক না গেরুয়াকে বদলায় কিনা হাল। পালটে গেলাম আজকে আমি…. বুঝে নেব কোনটা খাঁটি, কোনটা ছিল মেকি।’