প্রয়াত অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরীর মা।
প্রয়াত মহিমা চৌধুরীর মা মিসেস চৌধুরী। তিন-চারদিন আগেই ইহলোক ত্যাগ করেছেন তিনি। মিসেস চৌধুরী তার মেয়ে মহিমা এবং নাতনি আরিয়ানার খুব কাছের ছিলেন। এটা অভিনেত্রীর পরিবারের কাছে খুব বড় ক্ষতি।
জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মিসেস চৌধুরী। এভাবে মায়ের হঠাৎ চলে যাওয়ার শোক এখনও সামলে উঠতে পারেননি। ভেঙে পড়েছেন মহিমা আর আরিয়ানা।
'পারদেস' তারকা কয়েক বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। গত বছরের ৯ জুন, অনুপম খের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে যা প্রকাশ করেছিলেন, ‘আমার ৫২৫তম ছবি দ্য সিগনেচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য আমেরিকা থেকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম মহিমাকে। সেইসময়ই কথাবার্তায় জানতে পারি ও ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত। ও চেয়েছিল আমিই এই কথা গোটা বিশ্বের সামনে আনি। আমার আশা ও অনেককে অনুপ্রেরণা দেবে।’ আরও পড়ুন: কে এই বাবা সিদ্দিকি, যার পার্টিতে এবারেও হাজিরা দিলেন শাহরুখ-সলমন সহ গোটা বলিউড?
প্রসঙ্গত, সুভাষ ঘাইয়ের পরদেস দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মহিমা। শাহরুখের বিপরীতে তাঁর এই কাজ তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল প্রথম থেকেই। এরপর তাঁকে দেখা যায় দাগ: দ্য ফায়ার, কুরুক্ষেত্র, হোম ডেলিভারি-র মতো সিনেমাগুলিতে অভিনয় করেন।
মহিমার জন্ম কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে। তাঁর মারাঠি বাবা বিয়ে করেন নেপালি মাকে। তিনি দশম শ্রেণি অবধি কার্সিয়াংয়ের ডাউ হিল স্কুলে পড়াশোনা করেন। তারপর দার্জিলিং-এর লোরেটো কলেজে যান। ৯০-এর দশকে মিস ইন্ডিয়া জেতার পর প্রথমে কাজ শুরু করেন বিজ্ঞাপনে। তারপর সেখান থেকে সিনেমায়। মিউজিক চ্যানেলের ভিজে হিসেবেও কাজ করেছেন এক সময়। ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ কলকাতার ব্যবসায়ী ববি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। ২০০৭ সালে জন্ম হয় মেয়ে আরিয়ানার।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)