কাকা-ভাইঝির সম্পর্ক সৌরভ-সম্পূর্ণার
জমে উঠেছে দাদাগিরি সিজন ১০-এর আসর। সিজনে যতই সেলেব্রিটির ছড়াছড়ি হওয়ার অভিযোগ উঠুক না কেন, দর্শক কিন্তু তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ কছেন সেই সকল এপিসোড। দাদাগিরির সাম্প্রতিক এপিসোডে হাজির হয়েছিলেন টলিপাড়ার একঝাঁক চেনা মুখেরা। ছিলেন সম্পূর্ণা লাহিড়ি, পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায়, রশ্মি তন্বী ভট্টাচার্যরা। আরও পড়ুন-'দাদাগিরির নাম তো এখন তেল মারা গিরি’, তারকাদের আধিক্য সৌরভের শো-তে! হল ট্রোলিং
রুপোলি পর্দা ও ছোট পর্দার চেনা মুখ সম্পূর্ণা। শেষ বাংলা মিডিয়াম ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিন ‘বিশেষ মানুষ’কে সঙ্গে নিয়ে সম্পূর্ণা হাজির ছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। সৌরভকে অভিনেত্রী সটান বলেন, সেই মানুষ নাকি সৌরভকে নিজের দেওর হিসাবে পরিচয় দেন। আর তিনি আর কেউ নন, সম্পূর্ণার মা। যা শুনেই মাথায় হাত সৌরভের। সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘আমি ওঁনার ভাই হতে পারি, কিন্তু দেওরের বয়স হয়নি এখনও’।
কিন্তু কেন সম্পূর্ণার মায়ের দেওর হতে আপত্তি দাদার? সৌরভের মনের কথা ফাঁস করলেন জয়জিৎ। সম্পূর্ণার মায়ের দেওর হলে, সম্পর্কে সম্পূর্ণার ‘কাকু’ হবেন সৌরভ, আর সেটাতেই আপত্তি দাদার!
কিন্তু কেন সৌরভকে নিজের দেওর বলে পরিচয় দেন? আসলে বেহালার বাসিন্দা সম্পূর্ণা ও তাঁর পরিবার। সম্পূর্ণার মা-কে বলতে শোনা গেল, ‘এমন একজন মানুষ, শুধু ভারত নয়, পৃথিবী বিখ্যাত। আমার দেওর ছাড়া আর কে হবে!’ অভিনেত্রীর সংযোজন, সৌরভ যখন ব্যাট হাতে মাঠে ফাটাফাটি পারফরম্যান্স করতেন তখন সকলে তাঁর মা-কে বলত, ‘আজ দেওর তো মাঠে ফাটিয়ে দিয়েছে’। মুচকি হেসে সম্পূর্ণার মা সৌরভকে বলেন, 'তুমি আমার থেকে অনেক ছোট, তুমিই বলছি। তোমাকে নিয়ে সত্য়ি আমার অনেক গর্ব। আমাদের একজন বাঙালি, এত যার প্রতিভা। শুধু তো ক্রিকেট নয়, এই যো আজ সঞ্চালনা করছো। ক্রিকেট থেকে এখানে, ভাবা যায়! এটাতেও এক নম্বরে'।
এই প্রশংসা শুনে আবেগে গদগদ সৌরভ। বললেন, 'আমিও ভাবতে পারিনি ৯ বছর এখানে (দাদাগিরির মঞ্চে) কাটিয়ে দেব। গত কয়েক বছর সঞ্চালক হিসাবে নিজেকে ঘষে মেজে নিয়েছেন সৌরভ, এখন তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি সপ্রতিভ। কখনও প্রতিযোগিদের আবদারে নাচের স্টেপে পা মেলাচ্ছেন, আবার কখনও নিজের হাঁড়ির খবর শেয়ার করছেন।
চলতি সিজনে টিআরপি তালিকায় মিশ্র ফল দাদাগিরির। গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও দিদির কাছে হার স্বীকার করতে হল দাদাকে। সানডে ধামাকা এপিসোডের ৬.৫ রেটিং-এর কাছে মাত্র ৫.৩-এ আটকে গেল দাদাগিরি।