খুদে প্রতিযোগীর উপর চটে লাল সৌরভ
রবিবার ২৬ নভেম্বর দাদাগিরিতে খেলতে এসেছিল খুদেরা। সেখানেই ছোটদের কথা আর উত্তর শুনে কখনও হতবাক হয়ে গেলেন সৌরভ, কখনও আবার হেসে কূলকিনারা খুঁজে পেলেন না। কোনও খুদে বলল তার গৃহকর্মে নিপুণ এমন স্ত্রী চাই, কেউ আবার বলে তার সংসার থেকে মন উঠে গেছে, তাই সে সন্ন্যাসী হবে। কেউ আবার বলে মা রেগে গেলে খেতে দেয় না। সব শুনে কী বললেন দাদা সৌরভ?
এদিন এক খুদে এসে জানায় সে বিয়ে করতে আগ্রহী। সেটা শুনে সৌরভ জানতে চান যে তার কেমন মেয়ে চাই। উত্তরে সে বলেন, 'ভালো ঘরের কাজ জানবে। ভালো রান্না করবে, হাত টিপে দেবে, পা টিপে দেবে।' এটা শুনেই দাদা বলে ওঠেন 'তুই বাড়ি যা। এমন মেয়ে আর আজকাল পাবি না। তুই যা।'
আরও পড়ুন: সৌরভের নাম ভাঙিয়ে ভিনরাজ্যে সুবিধা নিচ্ছেন বহু বাঙালি! দাদা বললেন, 'কতজন যে এভাবেই...'
আরও পড়ুন: 'আমারটা গেল না কখনও...' ডোনা রাগ করে বাপের বাড়ি যাননি বলে আক্ষেপ সৌরভের! দাদাগিরিতে ফাঁস মনের কথা
আরেকজন জানায় সে সন্ন্যাসী হতে চায়। কিন্তু মাত্র ৪-৫ বছর বয়সে কেন এমন চাওয়া তার? সৌরভের প্রশ্নে সে বলে, 'এত দুঃখ, কষ্ট যন্ত্রণা নিতে পারছি না।' সেই পুচকের মুখের অভিব্যক্তি দেখে খলখলিয়ে হেসে ওঠেন সৌরভ। কী বলবেন খুঁজে পান না। শেষ পর্যন্ত বলে, 'এই তো বয়স, এর মধ্যে কী এমন দুঃখ কষ্ট দেখলি?' তবুও সে জানায় যে সে সন্ন্যাসী হবে।
আরেক খুদে প্রতিযোগী এদিন জানায় তার মা রেগে গেলে, রান্না না করলে তাকে নাকি না খেয়েই থাকতে হয়। তার কথায়, 'বাবা ওই ঝুরিভাজা, বাদাম ওসব আনে, ওগুলো খেয়ে কি পেট ভরে? তাই মা রান্না করলে খাই, নইলে না।' ছেলের কথায় তার মা কোথায় মুখ লুকাবেন স্থির করে উঠতে পারেন না। সব দেখে শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান সৌরভ।
কেউ লেখেন, 'এভাবেই পারিবারিক শিক্ষায় পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে বড় হয় শিশুরা। এটা বাবা মায়ের দোষ। লজ্জাও করে না।' কেউ আবার লেখেন, 'এটা মজা নয়। এইটুকু বাচ্চার মধ্যেই এই ধারণা ঢোকানো হয়েছে যে বউ মানেই সে এসব করবে। এটা ঠিক নয়।'