Nandini Stroke: স্ট্রোক ডালহৌসিতে পাইস হোটেল চালানো নন্দিনীর, বন্ধ হয় দোকানে আসা, এখন কেমন আছেন?

ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালিয়ে নন্দিনী পরিচিতি গড়েছেন গোটা বাংলার মানুষের কাছে। সেই নন্দিনীরই স্ট্রোকের খবর মিলছে। যা হয় সরস্বতী পুজোর দিন। এখন কেমন আছেন?

স্ট্রোক হয়েছে ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনীর।

খুব অল্প সময়ে বড় খ্যাতি পেয়েছেন ডালহৌসিতে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী গাঙ্গুলী। আগে যেখানে মাত্র একটি দোকান চালাতেন, সেখানে এখন ৩টি দোকানের মালিক তিনি। ডালহৌসির সঙ্গে বাদবাকি দুটো নিউ টাউনে। একটি আকাঙ্খা মোড়ে ও আরেকটি ডিএলফ ২-তে। দোকান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কাজের ব্যস্ততাও। তাই কি স্ট্রোক?

প্রথমে নন্দিনীর বাবার একটা ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন মেয়ের শরীর নিয়ে বড়ই চিন্তিত তিনি। সঙ্গে জানান, সরস্বতী পুজোর দিন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর মেয়ের। শরীরের একটা পাশ সামান্য বেঁকেও যায়। এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। তাই নন্দিনী আসছে না কোনও দোকানেই। বাড়িতেই রয়েছে বিশ্রামে।

এরপর নন্দিনী দোকানের কাজে যোগ দিতে তাঁকে ছেঁকে ধরেন ইউটিউবাররা। স্মার্ট দিদি জানান, সরস্বতী পুজোর দিন সকাল থেকেই খারাপ লাগছিল শরীর। পরেরদিন ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারেন একটা মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে। কাজের চাপ, দুশ্চিন্তাই কারণ হতে পারে বলে জানান আরও।

নন্দিনী বলেন, ‘এখন অনেকটা ভালো আছি। তাই খুশি। আর খুশি না থেকেও তো উপায় নেই। জীবনে কোনওকিছুই তো থেকে যায় না। এই খুশিটাই থেকে যায়।’ এরপর যোগ করেন, ‘১৪ তারিখ সকাল থেকে পেটখারাপ হয়েছিল। ২৫-৩০বার বাথরুমে যেতে হয়। খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তারপর ডাক্তার বলে মাইল্ড একটা স্ট্রোক ছিল। এখন অনেকটাই ভালো আছি। তাও শরীরে একটা প্রভাব তো পড়েই। কদিন ধরে মানসিক একটু চাপেও রয়েছি। সেই কারণেও হতে পারে।’  

নন্দিনীর অসুস্থতার খবরে বেশ চিন্তিত নেট-নাগরিকরা। একজন কমেন্ট করলেন, ‘এত ছোট বয়সে স্ট্রোক! ভগবান তোমার মঙ্গল করুক।’ আরেকজন লিখলেন, ‘বেশি চিন্তা করে লাভ নেই। অল্পে খুশি থাকো। যত বেশি কাজ নিয়ে ভাববে, মানসিক চাপ বাড়বে। রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে।’

কেউ কেউ আবার নন্দিনীর অসুস্থতা নিয়ে ট্রোল করতেও ছাড়েননি। বললেন, ‘সল্টলেকের দোকানটা বন্ধ নাকি? ডালহৌসি থেকে ভিডিয়ো বানাতে হচ্ছে!’ দ্বিতীয় কটাক্ষকারীর মন্তব্য, ‘পেট খারাপ তারপর স্ট্রোক… ব্যাপারটা তো হজম হচ্ছে না বস’!

করোনা লকডাউন চলাকালীনই ডালহৌসির ফুটপাথে জিন্স টপ, কানে ব্লু টুথ হেডফোন গুঁজে ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী প্রচারের আলোয় এসেছিলেন ফুড ভ্লগারদের কল্য়ানে। এখন নিজের একাধিক হোটেলের পাশাপাশি তাঁর পরিচয় অভিনেত্রী। নিজের ইউটিউব চ্যানেলও খুলে ফেলেছেন এই স্মার্ট দিদি।