অনেক আগে থেকেই দিন গোনা শুরু হয়েছিল। কোন দিন কী করবেন, তৈরি সেই রুটিনও। তবে আপাতত বেজায় ব্যস্ত দেবলীনা কুমার। ধারাবাহিকের আগাম পর্বগুলির শ্যুট সেরে থাকতে হচ্ছে। কারণ পুজোয় ছুটি চাই-ই চাই!
শারদোৎসব কী ভাবে কাটাবেন দেবলীনা? তাঁর উত্তর, 'আমার পুজো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি। এখন কথা বলতে বলতেও চিকেন তন্দুরি খাচ্ছি। আর বিরিয়ানি তো আছেই!'
সারা বছর ধরে কঠিন ডায়েট মেনে চলতে হয়। একই সঙ্গে চলে কঠোর শরীরচর্চা। পুজোর ক'টা দিন এ সব থেকে ছুটি! দেবলীনা বললেন, 'পুজোতে বাড়িতে খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না! ত্রিধারার পুজোটা আমাদের বাড়ির পুজো হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই পাড়াতেই খাওয়াদাওয়া করি।'
পুজোর কেনাকাটা? সেটা কতদূর? দেবলীনার উত্তর, 'আমার কেনাকাটা প্রায় শেষ। তবে বাবা (দেবাশিস কুমার) আর গৌরব (চট্টোপাধ্যায়) এখনও কিছু কিনে দেয়নি। ওদের সঙ্গে ষষ্ঠীর দিন কেনাকাটা করতে যাব। এটা একটা নিয়মের মতো। আমাকে দোকানে নিয়ে গিয়ে কিছু একটা কিনে দিতেই হবে।'
(আরও পড়ুন: টু পিস সুইম স্যুটে তাক লাগলেন দেবলীনা! পুলের ধারে ছুটির মেজাজে গৌরব-পত্নী)
পুজোর ক'টা দিন কাজের ব্যস্ততা ভোলেন দেবলীনা। দশমীতেও মন খারাপের সুযোগ নেই। শুরু হয়ে যায় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। মাঝে আর একটা দিন। তার পরেই পুজোর আমেজে গা ভাসাবেন ছোট পর্দার রাইমা। তাঁর কথায়, 'ত্রিধারার মণ্ডপটাই আমার কাছে সব কিছু। ছোটবেলায় ওখানে বেলুন নিয়ে খেলতাম। এখন আড্ডা দিই। পার্থক্য এইটুকুই!'