সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার ও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার সংবাদ মাধ্যমের চেষ্টায় খুশি নন দিশার পরিবার। দিশার পরিবারের দাবি, মেয়ের মৃত্যুতে কোনওরকম ফাউল প্লে সন্দেহ করছেন না তাঁরা। এবং মুম্বই পুলিশের তদন্তের পুরোপুরি সন্তুষ্ট তাঁরা।
মালবানি পুলিশ থানার এসিপিকে লেখা এক চিঠিতে তেমনটাই দাবি করেছেন দিশার বাবা সতীশ সালিয়ান। এবং সংবাদমাধ্যম তাঁর পরিবারের সম্মানহানি করছে বলেও অভিযোগ করেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজারের বাবা।
সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যু হয়। ৮ই জুন গভীর রাতে মালাডের একটি হাইরাইজের ১৪ তলা থেকে পড়ে যাওয়ার মৃত্যু হয়েছে দিশা সালিয়ানের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মহত্যা করেছেন দিশা। তবে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে ১৪ ই জুন বান্দ্রার কার্টার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। এবং মুম্বই পুলিশ দাবি করে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত।
মু্ম্বই পুলিশকে লেখা চিঠিতে দিশা সালিয়ানের বাবা জানিয়েছেন, মুম্বই পুলিশের তদন্তের উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। সতীশ সালিয়ান, সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের দাদরের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত মেয়ের ‘সম্মানহানি’র জন্য যেসব পোস্ট শেয়ার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে মালবানি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন দিশার বাবা।
মুম্বই পুলিশ অফিসিয়্যাল জানিয়েছেন, ওই চিঠিতে দিশার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক নেতার যোগাযোগ কিংবা বলিউডের বড় তারকাদের সঙ্গে পার্টিতে যোগ দেওয়ার তত্ত্বও নাকি খারিজ করেছে পরিবার। চ্যানেলের টিআরপি বাড়ানোর জন্যই নাকি ‘দিশার ধর্ষণ ও খুনের গল্প ফাঁদছে মিডিয়া’।
উল্লেখ্য দিশার মৃত্যু নিয়েই নিজের শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছিলেন সুশান্ত। ৯ ই জুন দিশার মৃত্যু নিয়ে ইনস্টাস্টোরিতে একটি পোস্ট করেন সুশান্ত।
দিশার পরিবারের তরফে এই দাবি করা হলেও দিশার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মৃত্যুর দুদিন পর এসেছিল দিশা সালিয়ানের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। যেখানে দিশার মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে কোনও ফরেন্সিক দল পাঠানো হয়নি। এমনকি দিশার পরনের পোশাকও সংরক্ষণ করা হয়নি। দিশার নোখের কোনও অংশও সংরক্ষিত করা হয়নি ময়নাতদন্তের সময়। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে য়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে দিশার মাথা ও শরীরের একাধিক অংশে অস্বাভাবিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।