Parambrata-Piya-Rudranil: বন্ধু পরমের বিয়েতে নিমন্ত্রণ পাননি, পিয়ার সঙ্গে বিয়ের কথায় কী বললেন রুদ্রনীল?

‘আমিও শুনেছি এই বিয়ের কথা। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই জেনেছি যে পরম, পিয়াকে বিয়ে করছে। এই বিয়েতে আমার শুভেচ্ছা রইল। দু'জন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে আগামী ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের জীবনসঙ্গী করবেন, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। বন্ধুর জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমাকে আমন্ত্রণ করলে নিশ্চয় পৌঁছে যাব।’

রুদ্রনীল-পরমব্রত-পিয়া

আজই (২৭ নভেম্বর) বিয়ে করছেন পরম-পিয়া। এ খবরটা এতক্ষণে টলিপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। সকলেই জানেন, সোমবার কলকাতা শহরে হতে চলা এই বিয়ের কথা। তবে জানা যাচ্ছে, এই বিয়েতে নাকি টলিপাড়ার কাউকেই আমন্ত্রণ জানাননি পরম-পিয়া। একান্ত কিছু ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতেই এই বিয়েটা হচ্ছে। 

তবে পরব্রমত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষের বন্ধুত্ব বহু পুরনো। তবে এই বিয়েতে রুদ্রনীলও আমন্ত্রণ পাননি। এবিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় রুদ্রনীলের সঙ্গে। পরম-পিয়ার কী বললেন রুদ্রনীল?

রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিও শুনেছি এই বিয়ের কথা। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই জেনেছি যে পরম, পিয়াকে বিয়ে করছে। এই বিয়েতে আমার শুভেচ্ছা রইল। দু'জন মানুষ ব্যক্তিগতভাবে আগামী ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের জীবনসঙ্গী করবেন, সেটা একান্তই তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। বিয়ের মতো বিষয়ে আমার বন্ধুর জন্য শুভেচ্ছা রয়েছে। আমাকে আমন্ত্রণ করলে নিশ্চয় আমি পৌঁছে যাব। আমিও বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ওর (পরমব্রত) সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠে পারিনি।’

অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে পরমব্রত বিয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ট্রোলিং, হাসাবাসি। এদিন ট্রোলারদেরও কড়া জবাব দেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ট্রোল করছেন, হয়ত তাঁদের বিবাহিত জীবন সুখের নয়। তাই অন্যের বিবাহিত জীবন সুখের হতে যাচ্ছে দেখে ঈর্ষা করছেন। আবার হতে পারে, তাঁদেরও ব্যক্তিগত জীবনে অন্যলোক মাথা গলান বলে তাঁরাও অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে মাথা গলিয়ে নিজেদের জীবন-যন্ত্রণার সঙ্গী করে তুলতে চাইছেন।’

রুদ্রনীলের কথায়, ‘এটা একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে দুটো মানুষের ইচ্ছা। সেক্ষেত্রে পরম এবং পিয়ার প্রচুর অনুরাগী রয়েছেন। যাঁরা ট্রোল করছেন, তাঁদের মধ্যে পরম বা পিয়ার হতে পারতাম প্রেমিক বা প্রেমিকা, হতে পারতাম স্বামী বা স্ত্রী এমন লোকজনও থাকতে পারেন। তাঁদের হয়ত সেকারণেই কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সুস্থ মস্তিষ্কের কোনও মানুষেরই এটা নিয়ে কিছু বালার থাকে না, শুধু আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা দেওয়া ছাড়া। যেখানে দুজন একটা সম্মানজনক সম্পর্কে আবদ্ধ হতে চলেছেন। এটা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’