টুকাইবাবুকে নিয়ে দুজনের বিস্তর দড়ি টানাটানি হয়েছে এক সময়। টুকাইদা-র প্রেমে পাগল রিনি, নিজের ভালোবাসাকে পেতে একটা সময় উর্মির জীবন পর্যন্ত শেষ করে দিতে চেয়েছিল। অনেকটা পথ পেরিয়ে অবশেষে শেষ হচ্ছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’। চলতি সপ্তাহেই শেষ সম্প্রচার ধারাবাহিকের, তার আগে রবিবার হয়ে গেল শেষ দিনের শ্যুটিং।
শেষবেলায় মন খারাপের রেশ এই পথের সেট জুড়ে। হবে না-ই বা কেন দীর্ঘ এক বছর আট মাস একসঙ্গে শ্যুটিং, উর্মি-সাত্যকিদের ‘সেকেন্ড হোম’ এই পথ যদি না শেষ হয়-এর শ্যুটিং সেট। মাঝে ধারাবাহিক থেকে বিরতি নিয়েছিলেন মিশমি। কিন্তু স্বমহিমায় ফিরে আসেন অভিনেত্রী। অনস্ক্রিনে উর্মির সঙ্গে যতটা তিক্ত রিনির সম্পর্ক, বাস্তবে ততটাই স্ট্রং অন্বেষা-মিশমির বন্ধুত্ব। শ্যুটিংয়ের শেষবেলায় বন্ধুর গলা জড়িয়ে চুমু খেলেন অন্বেষা। মেকআপ রুমে রীতিমতো আবেগঘন দুজনে। সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে নিয়েছেন মিশমি। সঙ্গে লিখেছেন, আজকের পর থেকে অন্বেষাকে একদমই ‘মিস করব না'। কিন্তু কেন?
সেই কারণও ফেসবুক পোস্টে খোলসা করেছেন ‘রিনি’। অভিনেত্রীর আক্ষেপ, ‘আজকের পর আর কেউ আমাকে রিনি ডাকবে না, কাউকে টুকাই দা ও টুকাই দা বলবো না, কাউকে শাকচুন্নি বলবো না, আমি আর রিনির মতো সাজবো না।’ ‘এই পথ যদি না শেষ’-এর প্রতি মিশমি কৃতজ্ঞ কারণ নেগেটিভ চরিত্রে অসম্ভব জনপ্রিয়তা দিয়েছে এই ধারাবাহিক। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এই পথ আমাকে অনেক দিয়েছে। অভিনয়ের জন্য একটি অস্বাভাবিক চরিত্র, একটি পুরস্কার, হাজার স্মৃতি এবং একটি নতুন স্বীকৃতি।’
তবে এই এক বছর আট মাসের সফরে মিশমির সেরা পাওয়া কী জানেন? অভিনেত্রী লেখেন, ‘এটা (এই পথ) আমাকে কিছু আশ্চর্যজনক বন্ধুও দিয়েছে, যারা পাসে থাকে, যারা ভালোবাসে আর তার সাথে দিয়েছে অন্বেষা হাজরাকে, যাকে আমি একটুও মিস করব না। কারণ ওর সাথে আমি রোজ দেখা করব’।
হ্যাঁ, দুই সখীতে শপথ নিয়েছেন শ্যুটিং শেষ হলেও নিয়মিত দেখা করবেন দুজনে। আগামী সপ্তাহ থেকে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর পরিবর্তে জি বাংলার পর্দায় শুরু হচ্ছে স্বস্তিকা দত্তের নতুন মেগা ‘তোমার খোলা হাওয়া’। এই ধারাবাহিকে শুভঙ্কর সাহা রয়েছেন স্বস্তিকার বিপরীতে। অসম বয়সী প্রেম উঠে আসবে গল্পে, ঝলক বলছে ‘গুড্ডন তুমসে না হো পায়ে গা’র রিমেক এই ধারাবাহিক।