প্লাস্টিক সার্জারির মতো অভিযোগ নিয়ে অকপট জেনিফার
হলিউডে কান পাতলে জোর গুঞ্জন, জেনিফার লরেন্স নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন। এ বিষয় মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। কাইলি জেনারের সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক কথোপকথনে, অভিনেত্রী তাঁর তরুণ চেহারাকে মেকআপ দক্ষতা এবং সুন্দর বার্ধক্যের জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন।
ডিওর ফ্যাশন শোতে জেনিফার লরেন্সের উপস্থিতির পরে গুজব ছড়িয়েছিল অভিনেত্রী নাকি নোজ জব এবং ঠোঁট ফিলার করেছেন। যদিও এই দাবিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর পরিবর্তির চেহারার কথা হিসেবে জানিয়েছেন বয়স বাড়ছে এবং ওজন হ্রাস। আরও পড়ুন: প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে গেলেন কোথায়? ক্যাট-ভিকির মজার গল্প জানালেন পর্দার ‘স্যাম’
জেনিফার লরেন্স প্লাস্টিক সার্জারির গুজবে মুখ খুলেছেন
জেনিফার লরেন্স সম্প্রতি কাইলি জেনারের সাক্ষাত্কার নিয়েছিলেন যেখানে তিনি তাঁর প্লাস্টিক সার্জারি করার গুজব সম্পর্কে খুলেছিলেন। 'দ্য হাঙ্গার গেমস' তারকা জানিয়েছেন, তিনি কোনও প্লাস্টিক সার্জারি করাননি। চোখে অস্ত্রোপচারের অভিযোগ খারিজ করেছেন।
মেকআপের সাহায্যে যে সবকিছু ঢাকা যায় সেকথা স্বীকার করেছেন জেনিফার। নিজের পরিবর্তিত লুকের কৃতিত্ব তাঁর মেকআপ শিল্পী হাং ভ্যানগোকে দিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি এটা বিশ্বাস করি, যা মেকআপ কি করতে পারে তা অবিশ্বাস্য, কারণ আমি হাং (ভানগো)-এর সঙ্গে কাজ করি, যিনি ঠোঁটকে ওভারলাইন করেন এবং আমি তাঁকে একজন প্লাস্টিক সার্জন বলি। কারণ আমি তার সাথে কাজ করার পর থেকে গত কয়েক মাসে সবাই মনে করছেন আমার চোখের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে’।
অভিনেত্রী আরও যোগ করেছেন, '১৯ বছর বয়সে কেরিয়ার শুরু করেছি, তাই আমার ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ছবিগুলি সব পাই। আমার মনে হয়, আমি পরিণত হয়েছি। মুখে শিশুসুলভ বদলটা এসেছে। আমার মুখ পরিবর্তিত হয়েছে কারণ আমার বয়স বাড়ছে। সবাই ভেবেছিল আমি নোজ জব করিয়েছি। আমি মনে করি, ‘আমার ঠিক একই নাক ছিল। আমার গাল ছোট হয়ে গেছে। এটা আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ’।
কাইলি জেনার, যিনি নিজেই কসমেটিক সার্জারি করানোর মতো গুজবের শিকার হয়েছেন। তিনি লরেন্সকে সমর্থন জানিয়ে এই ধরনের গুজব মোকাবিলার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। উদ্যোক্তা বলেছিলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত ঠোঁট ফিলার করানো নিয়ে গুজব শুনেছি, কিন্তু আমার ক্ষেত্রেও এটি একই রকম’। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমার ১২ বছর বয়স আর ২৬ বছর বয়সে এসে ভ্রু তো আলাদা রকম হবেই। তাছাড়া আমার কাছে কনট্যুর আছে’।