দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘কারা’ র প্রাক্তন সদস্য তথা পপ সেনসেশন গো হারার মৃতদেহ উদ্ধার করা হল তাঁরই বাড়ি থেকে। রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ সিওলে অবস্থিত গো হারার বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৮ বছর বয়সী পপ তারকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেছে কোরিয় পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যাই করেছেন তিনি।
২০০৮ সালে মেয়েদের নিয়ে তৈরি ব্যান্ড ‘কারা’-য় যোগ দেন গো হারা। দক্ষিণ কোরিয়াসহ জাপান এবং অনান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও ব্যাপক জনপ্রিয় এই ব্যান্ড। ২০১৫ সালে ব্যান্ড ছেড়ে একক শিল্পী হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন গো হারা।
চলতি বছরের মে মাসে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় গো হারা উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। সেই সময় দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই পপতারকা। আশঙ্কা করা হয়েছিল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনি।
এর আগেও প্রাক্তন প্রেমিকের হাতে মারধর খাওয়ার ঘটনায় সংবাদ শিরোনামে এসেছেন গো হারা। তাঁর অশালীন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফাঁস করে দেওয়া হবে প্রাক্তন প্রেমিকের কাছে এহেন হুমকিও পেয়েছেন গো হারা। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পর প্রাক্তন প্রেমিক জেলে গেলেও, নেটিজেনদের একাংশের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গোটা বিষয় নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এই তারকা। সেই থেকেই কি আত্মহননের সিদ্ধান্ত ? উত্তর মিলছে না।
শনিবার শেষবারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ ছিলেন গো হারা। ইন্সটাগ্রামে একটি ছবিও পোস্ট করেন পপ তারকা।
গত মাসেই কারা ব্যান্ডের অন্য সদস্য তথা পপ তারকা সুলি-র মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁর বাড়ি থেকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গো হারার এই মৃত্যু। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নেট দুনিয়ায়। বন্ধু সুলির মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন গো হারা।