Kanchan-Sreemoyee: ২৬ বছরের শ্রীময়ীর বিশেষ জিনিসে মন মজে ৫৩-র কাঞ্চনের, পাশ থেকে উপদেশ দিল শাশুড়ি

কদিন আগেই শ্রীময়ী চট্টোরাজ জানিয়েছিলেন তিনি অষ্টমঙ্গলাতে গিয়েছেন নিজের বাড়ি। সঙ্গী অবশ্যই কাঞ্চন মল্লিক। এবারের গন্তব্য কোথায় নব দম্পতির?

কদিন আগেই শ্রীময়ী চট্টোরাজ ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, অষ্টমঙ্গলায় যাচ্ছেন তিনি। এমনকী, কেমন সাজুগুজু করে গেলেন তাঁরা সেই ছবিও ভাগ করেছিলেন নেটমাধ্যমে। সেজেছিলেন তিনি সিল্কের শাড়িতে, সিঁথি ভরা সিঁদুর। আর কাঞ্চনের গায়ে ছিল স্ট্রাইপড শার্ট।

সোমবার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে নিলেন তাঁরা ইনস্টাগ্রামে। যেখানে শ্রীময়ীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘অষ্টমঙ্গলা শেষ। এবার বাপের বাড়ি ছেড়ে কোথায় যাচ্ছি?’ পাশে বসে থাকা কাঞ্চনের তাতে জবাব, ‘এবার যাবে নিজের শ্বশুর বাড়ি, মানে আমার বাড়ি।’

এরপর শ্রীময়ী পাশে থাকা মায়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘মা কিছু বলো?’ তাতে অভিনেত্রীর মা, হাত বুলিয়ে মেয়ের মাথায় বলে ওঠেন, ‘কী আর বলব বাবু। খুব ভালো থাক, সুখে থাক। নিজের শ্বশুরবাড়ি, নিজের সংসার করো মন দিয়ে ব্যস।’

মায়ের একটু মন খারাপ বুঝতে পেরেই স্বান্তনা দিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘আমার তো সেই হাত বাড়ালেই বন্ধুর মতো। যখন ইচ্ছে ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে চলে আসতে পারব।’ ফের একবার কাঞ্চনের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘এই যে কিছু বলো…’

বউকে নিয়ে এবার সোহাগ ধরা পড়ল কাঞ্চনের গলায়। বলে উঠলেন, ‘আর কী বলব। এবার একসঙ্গে পথ চলা হবে।’ শ্রীময়ী অবশ্য ছাড়ার পাত্রী নন, বরকে ফের বলেন, ‘এই যে আমি সিঁদুর পরে বসে আছি, তুমি ১০০টা ছবি তুলছ, কেন?’ তাতে বেশ লজ্জা পেয়েই কাঞ্চন বলে উঠলেন, ‘ভালো লাগছে তাই’!

২ মার্চের বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টোরাজ। কিছুটা বলিউডি ঢঙে নিজের বিয়ের তারিখ লুকিয়েই রেখেছিলেন তাঁরা। শুধু ৬ মার্চ রিসেপশনের খবর ছিল। এরপর ২ মার্চ সকাল থেকে হুলুস্থূল। খবর আসে গায়ে হলুদ হচ্ছে দুই তারকার একসঙ্গে। এরপর রাতের লগ্নে চার হাত এক হয়।

৬ মার্চ ছিল নব দম্পতির রিসেপশন। যদিও শুভ অনুষ্ঠানে তাল কাটে ৬ তারিখ রাতেই। বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢোকার মুখে একটা বোর্ডে লেখা ছিল মিডিয়া, গাড়ির চালক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর প্রবেশ নিষেধ। নব দম্পতির দাবি, এই ৩ ভুয়ো পরিচয়ে যাতে কেউ তাঁদের ব্যক্তিগত বিয়ের আসরে ঢুকতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, হোটেলকে তাঁরা নির্দেশ দিয়েছিলেন এই ৩ পরিচয়ে যাতে কেউ রিসেপশন পার্টিতে প্রবেশ করতে না পারে। সেটা যে এভাবে লিখে দেওয়া হবে, এই বয়ানে তা তাঁরা নিজেরাও জানতেন না। এদিকে হোটেলও নিজেদের ঘাড়ে দোষ নিতে রাজি নয়। তাঁরা জানিয়েছে, যেমন নির্দেশ এসেছে, তারা তেমনটাই করেছেন।