Kangana Ranaut: প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর জন্য ‘তেজাস’-এর বিশেষ প্রদর্শনী, কী কথা হল রাজনাথ-কঙ্গনার?

Kangana Ranaut: সদ্য পিসিমণি হয়েছেন কঙ্গনা। বাড়ির খুদে সদস্যকে নিয়ে বেজায় ব্যস্ত। এর মাঝেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর জন্য তেজাস-এর স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এর আয়োজন করলেন নায়িকা।

আসছে তেজাস 

বলিউডের বক্স অফিসে কঙ্গনার শেষ রিলিজ ‘ধাকড়’ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সে-সব অতীত! ‘তেজাস’ নিয়ে কামব্যাকের অপেক্ষায় দিন গুণছেন বলিউডের ‘কুইন’। দিন কয়েক আগেই অবশ্য কঙ্গনার তামিল ছবি ‘চন্দ্রমুখী ২’ মুক্তি পেয়েছিল।

ঘোষণার পর থেকে কঙ্গনার ‘তেজাস’ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এই ছবিতে বায়ুসেনা বাহিনীর অফিসার তেজস গিলের চরিত্রে দেখা যাবে। সম্প্রতি দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বায়ুসেনা আধিকারিকদের জন্য ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন কঙ্গনা। নয়া দিল্লির ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স অডিটোরিয়ামেই চলল ছবির স্ক্রিনিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি ছিল টিম তেজাসের কাছে। এখানেই শেষ নয়, ডিফেন্স চিফ অনিল চৌহানও নিজের একটি ব্রোচ উপহার হিসাবে হাতে তুলে দেন ছবির পরিচালক সর্বেশ মেওয়ারাকে। যা নিঃসন্দেহে বিরাট প্রাপ্তি।

ছবির স্ক্রিনিং-এ একদম ভারতীয় নারী হিসাবে ধরা দিলেন কঙ্গনা। অফ হোয়াইট আর সুবজ সুতোর কাজ করা শাড়িতে এলিগেন্ট লুকে পাওয়া গেল তাঁকে। এই গর্বের মুহূর্তের ছবি ইনস্টাগ্রামের পাতায় শেয়ার করে নিয়েছেন কঙ্গনা।

কঙ্গনা লেখেন, ‘ভারতের ডিফেন্স ফোর্সকে উৎসর্গ করেই তৈরি হয়েছে এই ছবি, তাই আমাদের সেনাবাহিনীর এবং মাননীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই ছবির প্রদর্শনীটা একটা মুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। সবচেয়ে বড় করা জেনারেল অনিল চৌহান, নিজের জ্যাকেট থেকে জেট আকৃতির ব্রোচ খুলে সেটা আমার পরিচালককে সঁপেছেন। তাঁর এই উদ্যোগ আমাদের অন্তর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মনে হচ্ছে আমাদের মিশন সফল হয়েছে। আমরা এই ছবি নিয়ে কতটা উত্তেজিত তা ভাষায় প্রকাশ করা দুষ্কর। ২৭শে অক্টোবর আসছি এই ছবি নিয়ে’।

 নির্মাতাদের কথায়, প্রত্যেক ভারতীয়র মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলাই এই ছবির মূল উদ্দেশ্য। বায়ুসেনা অফিসাররা রাতদিন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে রক্ষা করার কাজে সর্বস্ব উজার করে দেন, তাঁদের নিয়ে যেন গোটা গর্ববোধ করে। 

দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে রয়েছে কঙ্গনার এই প্রোজেক্ট। ২০২০ সালে মুক্তির কথা ছিল এই ছবির, কিন্তু বারবার মুক্তি পিছিয়েছে। চলতি মাসের গোড়াতেই সামনে এসেছিল ছবির ট্রেলার। সেখানে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গিয়েছে,  'ভারত কো ছেড়োগে তো ছোড়েঙ্গে নেহি।' একই সঙ্গে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেছেন। বলেন সন্ত্রাসবাদকে সবার ব্যক্তিগত সমস্যা হিসেবে নেওয়া উচিত। তাই তিনি শত্রুদের দেশে ঢুকে তাঁদের নিকেষ করে আসেন। দুর্ধর্ষ কিছু এরিয়াল শট দেখা যায় এই ছবির ট্রেলারে। জানা যায় তেজস গিলের নামকরণের নেপথ্যের কাহিনি বা কী করে তিনি এই রোমহর্ষক মিশনের অংশ হয়েছিলেন সেই কথা।

দর্শক মনে কতখানি দাগ কাটতে পারবে কঙ্গনার এই প্রয়াস, এখন সেটাই দেখবার।