শেষমেশ শুভক্ষণ এল! চার হাত এক হল। বিয়ে হল রুদ্র-নীপার।
দুষ্কৃতীকে ধরে অবশেষে বরের সাজে ফিরল রুদ্র। নাচতে নাচতে কনের প্রবেশ। এর পর শুভদৃষ্টি, মালাবদল। খুশি সকলেই। অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হচ্ছে নীপার। স্যান্ডির ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হচ্ছে মুহূর্তরা। রুদ্রকে নীপার আদেশ, সুন্দর করে সিঁথিতে সিঁদুর পরাতে হবে তাকে। চেয়েছিল, জীবনের সেই বিশেষ মুহূর্ত হবে ছবির মতো সুন্দর! কিন্তু তা আর হল কোথায়! মোক্ষম সময়ে এসে হাজির কনের মা। সঙ্গী তোর্সা, রাজীব আর অমরেশ।
সুলতার সামনেই তার মেয়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরায় পুলিশ জামাই। রাগে-দু:খে জ্ঞান হারায় সে। সকলে মিলে বোঝানোর চেষ্টা করে তাকে। কিন্তু রুদ্র-নীপার বিয়ে মানতে নারাজ সুলতা।
এরপর বাড়ি ফেরে বর-কনে। বিয়ে নিয়ে মা অসন্তুষ্ট। মন ভালো নেই নীপার। আর ঠিক তখনই সিদ্ধেশ্বরের আবির্ভাব। গিন্নি সুষমাকে নিয়ে নাতি আর নাতজামাইকে আশীর্বাদের পালা। এসেছে অনুরাধাও।
জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হল স্ত্রীর মায়ের অমতে। মন ভালো নেই রুদ্রর। অনুরাধা সান্ত্বনা দেয় তাকে। জানায়, পালিয়ে বিয়ে করে কোনও ভুল করেনি তারা। সুষমা যদিও তার স্বামীকেই দুষছে। তার কথায়, বাড়ির কর্তা জোর খাটালেই আর এত সমস্যা হত না। ভালোয় ভালোয় মিটত নাতনির বিয়ে।
সাতপাক ঘুরে রুদ্র-নীপা এখন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু সুলতা কি মেনে নেবে পুলিশ জামাইকে? নাকি নতুন কোনও ম্যাজিক করবে মিঠাই? এখন সেটাই দেখার।