এক একটা ছবি বদলে দেয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ভাগ্য। তাঁদের কেরিয়ার দৌড়োতে থাকে নতুন পথে। অনিল কাপুরের ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ বদলে দিয়েছিল তাঁর ভাগ্য। শ্রীদেবীরও কেরিয়ারের অন্যতম হিট ছবি এটি। কিন্তু অনিল কাপুরের জন্য এই ছবি বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ। এমনই মনে করেন অনেকে। কারণ এর আগে অনিল তেমন কোনও হিট ছবি করেননি। আর এই ছবির পরে তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু মজার কথা হল, এই ছবিতে তাঁর অভিনয় করার কথাই ছিল না। এমনই জানিয়েছেন, তাঁরা দাদা এবং এই ছবি প্রযোজন বনি কাপুর। কার অভিনয় করার কথা ছিল তাহলে?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর জানিয়েছেন, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র পরিকল্পনা যখন হয়েছিল, তখন অনিল কাপুরের কথা কারও মাথায় ছিল না। ছিল অন্য এক সুপারস্টারের কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর জানিয়েছেন, গোড়ায় ভাবা হয়েছিল এই ছবির পরিচালনা করবেন রমেশ সিপ্পি। কিন্তু পুরো পরিকল্পনাটাই বানচাল হয়ে যায়। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্ব গিয়ে পড়ে শেখর কাপুরের কাঁধে। আর তার পরে তো বাকিটা ইতিহাস। বলিউডের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবির তালিকায় একেবারে উপরের দিকেই থাকবে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র নাম। কিন্তু অনিলের আগে কার কথা ভাবা হয়েছিল এই ছবির হিরোর ভূমিকায়?
(আরও পড়ুন: 'এই বয়সে এতটাও ঠিক নয়', মাস্ক পরে অনিল কাপুরকে ট্রেডমিলে দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা)
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনি কাপুর জানিয়েছেন, এই ছবির হিরো হিসাবে প্রথমে ভাবা হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের নাম। তখনই ঠিক হয়েছিল, ছবিটির পরিচালনা করবেন রমেশ সিপ্পি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও এক কারণে সেই কথা বেশি দূর এগোয়নি। রমেশও পিছিয়ে যান ছবিটি থেকে। তাই আর অমিতাভ নিয়েও কথাবার্তা এগোয়নি।
এর পরে বনি নাকি এক সময়ে ভাবেন এই ছবি তিনি তৈরি করবেনই। তত দিনে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে গিয়েছেন তাঁর ভাই অনিল কাপুর। তাঁকেই এই ছবিতে নেবেন বলে ভাবেন তিনি। বনি জানিয়েছেন, সেই সময়ে অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন, এটি ঝুঁকির হয়ে যাবে। কারণ এর অনিল তেমন কোনও বড় তারকাই হয়ে ওঠেননি। তাই তাঁকে নিয়ে এত বড় বাজেটের ছবি করাটা ঝুঁকির বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই ঝুঁকিই শেষ পর্যন্ত বনি নেন। আর তাঁর সিদ্ধান্ত যে মোটেই ভুল ছিল না, তার প্রমাণ বক্সঅফিসের রেকর্ডই।