মুম্বই পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সুশান্তের দিদিরা জানিয়েছেন ২০১৩ সাল থেকে নাকি ‘মন খারাপ’ হত সুশান্তের এবং সেই সময় মনোচিকিত্সকের পরামর্শও নিয়েছিলেন সুশান্ত। সুশান্তের আত্মহত্যার দু-দিন আগে পর্যন্ত সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দিদি মীতু সিং। তিনি মুম্বই পুলিশকে জানান গত বছর সুশান্ত পরিবারকে জানিয়েছিলেন তিনি 'লো ফিল' করছেন।
মীতু সিং মুম্বই পুলিশকে জানিয়েছেন,'অক্টোবর,২০১৯ সালে পরিবারকে সুশান্ত জানিয়েছিল ওর মন খারাপ এবং সেই কারণে আমরা তিন বোন (প্রিয়াঙ্কা, নীতু এবং তিনি নিজে) মুম্বইয়ে সুশান্তের ফ্ল্যাটে এসেছিলাম ওর সঙ্গে দেখা করতে। আমরা বেশ কয়েকদিন ওঁর সঙ্গে ছিলাম। পেশাদার জীবনে চড়াই-উতরাইয়ের জন্য সেই সময় ওর মন খারাপ ছিল'।
সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিং এদিন সুশান্তের পরিবারের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। বুধবার সকালে সুশান্তের তিন দিদি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, এবং পরিবারের তরফে বেশ কিছু বক্তব্য সংবাদমাধ্যমের সামনে রাখবার অনুরোধ জানান। বিকাশ সিং এদিন বলেন, ‘বারণ সত্ত্বেও সুশান্তের মৃত্যুর পর পরিবারের বয়ান মুম্বই পুলিশ মরাঠিতে রেকর্ড করে এবং সেটি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। সুশান্তের জামাই বাবু হরিয়ানা পুলিশের ডিজি ওপি সিং বারণ করেছিলেন মরাঠিতে সেই বয়ান লিখতে। তাই মুম্বই পুলিশের বয়ানে কী লেখা রয়েছে তা কোনওভাবেই সুশান্তের পরিবার জানে না। তাঁরা কী বলেছে সেটা তাঁরা জানে। সুশান্তের পরিবার এফআইআরে যা বলেছে তার একবিন্দুও মিথ্যা নয়। সুশান্তের অ্যানসাইটির সমস্যার কথা পরিবার জানত। সেটায় সকলেই ভুগে থাকে কিন্তু ডিপ্রেশন বা বাইপোলার ডিসওর্ডারের মতো সমস্যার কথা কোনওদিন তাঁদের জানানো হয়নি'।
বিকাশ সিং সাফ জানান, ‘সুশান্তের বাবা কেকে সিং এফআইআরে জানিয়েছেন ২০১৯ সালে রিয়া সুশান্তের জীবনে আসার আগে পর্যন্ত সুশান্তের মধ্যে কোনওরকম মানসিক সমস্যা ছিল না। রিয়ার আসবার পরে তাঁর মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়’। এই এফআইআর পাবলিক ডোমেনে রয়েছে, এবং সেটি বিকৃত করে কিছু মিডিয়া হাউজ নিজেদের স্বার্থে পরিবেশন করছে বলে অভিযোগ করেন সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী।
১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার দেহ। মুম্বই পুলিশের দাবি ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন অভিনেতা, সেই কারণেই তাঁদের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। আপতত সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি এই মামলার তদন্ত করছে।