সুশান্ত সিং রাজপুতেরর মৃত্যু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলিউডকে। মাত্র ৩৪ বছরের এই অভিনেতা কেন আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর অধরা,তবে রবিবার সুশান্তের আত্মহত্যার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে একাধিক বলিউড ব্যক্তিত্ব। এর মাঝেই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহল থেকেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর প্রতিক্রিয়া, সেই তালিকায় এবার যোগ হল সোনু নিগমের নাম।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো পোস্ট করে সোনু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন বলিউডের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে। তাঁর দাবি ‘মিউজিক মাফিয়া’রা দিনের পর দিন ধ্বংস করছে একাধিক উঠতি গায়ক-গায়িকদের স্বপ্ন। বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি নিজেও। সোনু বলেন, ‘আজ যেটা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে ঘটেছে,সেটা কাল কোনও গায়ক কিংবা মিউজিক ডিরেক্টর,গীতিকারের সঙ্গেও ঘটতে পারে। ফিল্মের চেয়ে বড় মাফিয়া মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে’।
সোনু জানান কীভাবে পরিচালক,প্রযোজকদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মিউজিক লেবেলরা গায়কদের গান বাদ দেন এই কথা বলে-‘ও আমাদের সিঙ্গার নয়,গাওয়ানো যাবে না’। সেই দুঃখ বহু নতুন গায়ক-গায়িকা তাঁর কাছে করেছে। সোনু নাম না করেই বলেন, এই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করে দুজন লোক,দুটো মিউজিক কম্পানি।... আমি দেখেছি নতুনদের চোখের জল,দয়া করে আপনারা একটু সহানুভূতিশীল হোন।
এখানেই থেমে থাকেননি সোনু,নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন- আমি যে কিনা এত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি তাঁর গানও অচিরে বাদ পড়ে। আজকাল যে অভিনেতার উপর আঙুল উঠছে সে বলেছে ওকে (সোনু) দিয়ে গান করিও না, অরিজিতের সঙ্গেও এই জিনিসটা করেছে। এটা কী? আপনি কীভাবে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। আমার বলতেও খারাপ লাগছে..যে আমাকে ডেকে গান করিয়ে সেই গান বাদ দেয়। আমি কিন্তু কাজ চাই না, আপনারাই ডেকে গান গাইয়ে সেটা বাদ দেন। এটা অসহ্য, আমি ১৯৯১ সাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি, আমার সঙ্গে এটা করা হলে আমি তো ভাবতেও পারি না ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোর সঙ্গে কী করা হয়! এটা কী ঠিক যে একটা গান ৯ জনকে দিয়ে গাওয়ানো?
সোনু বলেন, ‘একটু দয়াবান হন, দয়া করে খারাপ ভাবনেন না- আমি যা দেখছি তাই ঘটছে তাই বলছি। তিনি আরও বলেন ক্রিয়েটিভিটি দুটো মানুষের হাতে আটকে থাকতে পারে না। তাহলে মিউজিক ছোট হয়ে যাবে। যাতে আর কাউকে সুইসাইড না করতে হয়’।