পরমব্রত-পত্নী হিসেবে এখন চর্চায় আছেন পিয়া চক্রবর্তী। যদিও গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে শতহাত দূরে থাকলেও, পেশাগত জায়গায় পিয়া সফল ও পরিচিত নাম। পরম-ঘরণী কাজ করেন মানবাধিকার কর্মী, সমাজকর্মী হিসেবে। শখে গানও করেন পিয়া।
পিয়ার প্রথম বিয়ে ছিল গায়ক অনুপম রায়ের সঙ্গে। বসন্তের সন্ধ্যার আলাপে শুরু বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম আর পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সাত পাক ঘুরে পূর্ণতা পেয়েছিল সম্পর্ক। তবে ২০২১ সালে তা ভেঙে যায়। এরপর বছর দুই পর ২০২৩ সালে ঘর বাঁধেন পিয়া অভিনেতা পরমের সঙ্গে। ঘরোয়া ভাবে রেজিস্ট্রি করেই সংসার বেঁধেছেন দুজনে। একাংশের মানুষের কাছে তাই এখন ট্রোলের বিষয়।
তবে সেসব ট্রোলে পাত্তা দিতে নারাজ পিয়া। তাঁর আর পরমব্রতর বিয়ে নিয়ে ওঠা কটাক্ষে জবাব দিয়েছেন প্রকাশ্যে ইতিমধ্যেই। তবে বছরের প্রথম দিনে, ভোল বদলে ফেললেন নিজের। পরমের ঘরণী চুলে করেছেন লাল রঙের হাইলাইট। আর সেই ছবি সোশ্যালে শেয়ার করে লিখলেন, ‘রেড হেয়ার, ডোন্ট কেয়ার’। সঙ্গে হ্যাশ ট্যাগে জুড়ে দিয়েছেন ২০২৪।
পিয়ার লুকের এই ট্র্যান্সফরমেশনে যারা হাত আছে তিনি হলেন সেলেব্রিটি হেয়ার স্টাইলিস্ট জলি চন্দ। পরমব্রত, স্বস্তিকা, নীল, তৃণা, ইশা-র মতো টলিউডের একাধিক তারকার চুলে কেরামতি দেখিয়েছেন তিনি আগেই।
দিনকয়েক আগেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন পিয়া। পরমব্রতকে বিয়ে করার পর একাংশ দাবি করতে থাকে, তাঁর নাকি দুই সন্তান। আর সেই গুঞ্জন বন্ধ করতেই ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘জনস্বার্থে প্রচার করছি, বাধ্য হয়ে। পিয়া চক্রবর্তীর, মানে আমার, কোনো সন্তান নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। দুটিও নয়, একটিও নয়। দয়া করে ফের নিউজ ফ্যাক্টরির দ্বারা মুর্গী হবেন না। আচ্ছা নমস্কার। জনতার মঙ্গল হোক।’
এই পোস্টে এক নেট-নাগরিকের কমেন্টে গিয়েও স্পষ্ট করে দেন পুরো ব্যাপারটা। লেখেন, 'ওঁনার (অনুপমের) অথবা আমার, কারুর কোনও সন্তান নেই। এইটুকু তথ্য যদি অনুরাগী হিসাবে আপনার বা মানুষের না থাকে, তাহলে কিছু বলার নেই'।
২৭ নভেম্বর বিয়ের পর, হানিমুন সেরে এসে, বড়দিনের আগে একটি রিসেপশন পার্টিও দিয়েছিলেন পরমব্রত আর পিয়া। সাটিনের নীল রঙা ওয়ানপিস ড্রেসে সেজেছিলেন পিয়া। আর বউয়ের সঙ্গে মিল রেখে শার্ট আর কালো ব্লেজারে দেখা মিলেছিল পরমব্রতর। আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম ছিল আবির চট্টোপাধ্যায়, নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল, ইশা সাহা, লহমা ভট্টাচার্যরা।