বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চণ্ডীগড়ের তরুণী। আর সোমবার ইজরায়েলের এইলাতে অনুষ্ঠিত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আসরে সেই স্বপ্নপূরণ করেছে হারনাজ সান্ধু। আজ তাঁকে নিয়ে গর্বিত গোটা দেশ। ১৩০ কোটি ভারতবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন হারনাজ। ২১ বছরের এই তরুণীর হাত ধরেই ভারতের ২১ বছরের মুকুট খরা কাটল ২০২১-এর এক্কেবারে শেষলগ্নে। হারনাজের এই সাফল্যে গর্বিত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ‘ভারত কি বেটি’ হারনাজকে টুইটারে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন নমো।
টুইটারের দেওয়ালে সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘মিস ইউনিভার্সের খেতাব জয়ের জন্য হারনাজ সান্ধুকে অনেক শুভেচ্ছা। ওঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য রইল অশেষ শুভকামনা’। নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে এই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে আপ্লুত হারনাজ। এই সুন্দরী পালটা জানান, ‘অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার’।
অতিমারী জর্জরিত চলতি বছরের প্রতিযোগিতায় গোটা বিশ্বের ৭৯ দেশের সুন্দরীকে পিছনে ফেললেন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স হারনাজ। চূড়ান্ত পর্বে মিস প্যারাগুয়ে নাদিয়া ফেরিয়া এবং মিস সাউথ আফ্রিকা লালেলা মেসওয়ানে-কে পিছনে ফেললেন হারনাজ। ফার্স্ট ও সেকেন্ড রানার আপের তাজ উঠেছে নাদিয়া ও লালেলার মাথায়।
হারনাজের মাথায় এদিন মুকুট পরিয়ে দেন ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা। মঞ্চে সোনালি স্লিভলেস গাউনে ঝলমল করলেন হারনাজ, হিরে খচিত মিস ইউনিভার্সের তাজ তাঁর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিল। সেরার তাজ মাথায় পরে মাতৃভাষাতেই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিল হারনাজ। এই পঞ্জাবি বিউটি কুইন মঞ্চে চিৎকার করে উঠেন- ‘চক দে ফট্টে ইন্ডিয়া…’।
চলতি বছর মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঊর্বশী রাউতেলা। চোখের সামনে দেশের মেয়েকে এই নজির গড়তে দেখে কেঁদে ফেলেন ঊর্বশী। হারনাজের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তিনিও।
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়া, সুস্মিতা সেন। ছয় বছর পর লারা দত্ত এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছিলেন। তারপর গত ২০ বছর ধরে ব্রহ্মাণ্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভারতের ঝুলি খালি থেকেছে কিন্তু সেই অপেক্ষায় এদিন দাঁড়ি টানলেন হারনাজ।