‘রইস’ বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাহরু খানের। দিন কয়েক আগেই ছবির প্রচারের সময় এক ভক্তের মৃত্যুর ঘটনায় শাহরুখের নামে দায়ের ফৌজদারী মামলা খারিজ করেছে গুজরাত হাইকোর্ট। এবার ‘রইস’ ছবি নিয়েই অপর এক মামলা উঠে এল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
শাহরুখ খান ও ছবির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে দায়ের ১০১ কোটির মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল গুজরাত হাইকোর্ট। এতে কিছুটা স্বস্তিতে শাহরুখ এবং প্রযোজনা সংস্থা এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট ও রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট।
‘রইস’ ছবিতে শাহরুখের চরিত্রের অনুপ্রেরণা ছিল গ্যাংস্টার আবদুল লতিফ, অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। লতিফের পরিবারের তরফেই ১০১ কোটির মানহানির মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছিল ছবির প্রযোজনা সংস্থা এবং শাহরুখের নামে।
সোমবার বিচারপতি উমেশ ত্রিবেদী আগামী ২০শে জুলাই পর্যন্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। নিম্ন আদালতের রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন শাহরুখ, প্রযোজক ফারহান আখতার, ছবির পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া।
নিম্ন আদালতের নির্দেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে শাহরুখ ও তাঁর সহকর্মীরা। গ্যাংস্টার লতিফের ছেলে মুস্তাক আহমেদ এই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন, তবে ২০২০ সালে তাঁর মৃত্য হয়। এরপর তাঁর বিধবা এবং দুই মেয়ে আদালতের দরজায় কড়া নাড়ে, এই মানহানির মামলায় বাদী পক্ষ হওয়ার আবেদন নিয়ে। যেহেতু আইনত মুস্তাকের উত্তরাধিকারী তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যা, তাই এই আবেদনে সম্মতি জানায় নিম্ন আদালত।
গুজরাত হাইতোর্টের তরফে ইতিমধ্যেই মুস্তাকের স্ত্রী-কন্যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আহেমদাবাদের সিভিল কোর্টে ২০১৬ সালে এই মানহানির মামলা দাখিল করেছিল মুস্তাক। তাঁর দাবি ছিল, শাহরুখ অভিনীত এই ছবি তাঁর এবং তাঁর বাবা ও পরিবারের সম্মানহানি করেছে। এর জেরেই ১০১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা ঠুকে দেয় সে।
শাহরুখের আইনজীবী শালিক থাকোরে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ক্ষতিপূরণের মামলা কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে দায়ের করা মামলায় মুস্তাক স্পষ্ট জানিয়েছিলেন এই ছবির চিত্রনাট্য লেখবার সময় লতিফের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল প্রযোজনা সংস্থা। এমনকী ছবি মুক্তির আগেও সেটিকে লতিফের জীবননির্ভর ছবি বলেই প্রচার করা হয়েছিল।
আবদুল লতিফের নামে ডজন ডজন মামলা ছিল খুব, অপরহণ, অবৈধ মাদক বিক্রির। বলা হত, আশির দশকের গুজরাতের এই গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ১৯৯৫ সালে গ্রেফতার হন লতিফ, দু বছর পর সবরবতী জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।